ফাইল ছবি
রোজের জীবনের ছোট-ছোট ভুলেই বাড়ে রোগের প্রকোপ। গল ব্লাডারে পাথর তৈরি হওয়া খুব কমন সমস্যা। কিন্তু এই সমস্যা দেখা দিলে অস্ত্রোপচার ছাড়া আর কোনো গতি থাকে না।
যত দিন যাচ্ছে রোগের প্রকোপ বাড়ছে। আজকাল অনেকেই গল ব্লাডারে পাথর জমার সমস্যায় ভুগছেন। ছোট থেকে বড়, অনেকেই এই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। গল ব্লাডারে স্টোন ধরা পড়লে অস্ত্রোপচার ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। কিন্তু প্রশ্ন হল, কেন এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পাশাপাশি কোনো উপসর্গ দেখে বুঝতে পারবেন যে, আপনার পিত্তথলিতে পাথর হয়েছে? এমনকি জেনে রাখা দরকার যে কিভাবে এড়ানো যায় এই সমস্যা।
গল ব্লাডারে পাথর জমার কারণ
১) দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলে পিত্তথলিতে পাথর জমতে পারে
২) ওজন বেড়ে গেলে দেহে নানা সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে রয়েছে গলস্টোনও রয়েছে
৩) লিভার থেকে অত্যধিক পরিমাণে কোলেস্টেরল উৎপন্ন হলে, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলেও গল ব্লাডারে পাথর তৈরি হতে পারে
৪) এমনকি দেহে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলেও গল ব্লাডারে পাথর তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়
৫) মহিলাদের দেহে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বেড়ে গেলেও গল স্টোনের ঝুঁকি তৈরি হয়
৬) ৪০ বছরের বেশি ব্যক্তিদের মধ্যে এই সমস্যার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি
গল ব্লাডারে পাথর জমলে যেসব উপসর্গ দেখা দেয়
১) তেল-মশলাদার খাবার খেলেই পেটের যন্ত্রণা শুরু হয়ে যায়
২) পেটের যন্ত্রণার পাশাপাশি বমি হয়
৩) মাঝেমধ্যেই পেটে মোচর দিয়ে ওঠে, তার সঙ্গে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে
৪) পেটের ডান দিক দিয়ে ব্যথা শুরু হয়ে ডান কাঁধ পর্যন্ত তা পৌঁছাতে পারে
৫) প্রস্রাবের রঙ বদলে যায়। গাঢ় রঙের প্রস্রাব হয় এবং হালকা রঙের মল বের হয়
৬) জন্ডিসের মতো চোখ ও ত্বকের বর্ণ হলুদ হয়ে যায়
প্রতিরোধের উপায়
১) গল ব্লাডারে পাথর জমা প্রতিরোধ করতে হলে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। ফাস্ট ফুড, ভাজাভুজি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
২) কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
৩) দেহের ওজনকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।