বর্ষাকালে ত্বক ও চুলের নানা সমস্যা দেখা দেয়। এ মৌসুমে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ থাকে বেশি, যা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াসহ নানা জীবাণুর বংশবৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ। এর কারণে বর্ষাকালে স্ক্যাল্পে ফাঙ্গাল ও ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ বেড়ে যায়। দাপট দেখা দেয় খুশকির।
চুলের এই নানা সমস্যা দূর করার মোক্ষম উপায় হলো তেল। এর ছোঁয়াতেই স্ক্যাল্পে বাড়ে রক্ত সঞ্চালন। এর কারণে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় হেয়ার ফলিকল। ফলে চুলের গোড়া মজবুত হয়। আর বন্ধ হয় হেয়ার ফল। আর এই তেলের সঙ্গেই কারি পাতা ও কালো জিরা মিশিয়ে নিলে আরও কিছু উপকার পাওয়া যায়।
এই সংক্রমণের কারণে অনেকের সবসময় মাথা চুলকায়। এ অবস্থায় মাথায় চিরুণি বসালে চুলও উঠে আসে। আর দীর্ঘদিন এভাবে হেয়ার ফল হলে শিগগিরই মাথা জুড়ে টাক দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ সম্ভাবনা এড়াতে তাই দ্রুত হেয়ার কেয়ার রুটিনে নজর দিতে হবে।
আর এ কাজে আপনাকে সাহায্য় করবে তেল মালিশই। এর গুণে স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। আর পুষ্টি ও অক্সিজেন পৌঁছে যাবে হেয়ার ফলিকলে। এতেই মজবুত হবে চুলের গোড়া। সাধারণত সবাই নারিকেল তেল দিয়েই মালিশ সেরে নেন। কিন্তু এর সঙ্গে দুটি উপাদান যোগ করলে ফল চমকপ্রদ হতে পারে।
সেই দুই উপাদানের একটি হলো কালো জিরা। একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে কালো জিরার মধ্যে। তবে আপনি চাইলে রূপচর্চাতেও ব্যবহার করতে পারেন রান্নাঘরের এ মসলা। কালো জিরায় রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি ও সি। তাই কালো জিরার তেল দিয়ে মালিশ করলে চুলের গোড়াতেও এসব পুষ্টি পৌঁছে যাবে। ফলে স্ক্যাল্পের ইনফেকশন তো দূর হবেই। সঙ্গে সঙ্গে সমাধানে আসবে চুল পড়ার সমস্যাও। টাকে নতুন চুল গজাবে এ তেলের ছোঁয়াতেই।
আরেকটি উপাদান হলো কারি পাতা। এই কারি পাতায় রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, যা ভিটামিন ‘এ’-এর উৎপাদন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এদিকে এই ভিটামিন ও কারি পাতায় থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড চুলের গোড়া মজবুত করে থাকে। আর মৃত হেয়ার ফলিকল দূরে সরিয়ে নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে কারি পাতা। এদিকে স্ক্যাল্পকে এক্স ফলিয়েট করে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এই প্রাকৃতিক উপাদান। ফলে সব পুষ্টি পৌঁছে যায় হেয়ার ফলিকলে। তাতে চুলের গোড়া মজবুত হয়। এমনকি কারি পাতার গুণে চুল হয় রেশমের মতো।