Logo
Logo
×

খেলা

টেনিস নয়, ছোট আগাসি মাঠে নামছেন অন্য খেলায়

Icon

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১৩ পিএম

টেনিস নয়, ছোট আগাসি মাঠে নামছেন অন্য খেলায়

ইয়েডেন আগাসি। নামটা পরিচিত ঠেকছে? ঠেকারই কথা, নামের শেষাংশে যে জড়িয়ে আছে এক টেনিস কিংবদন্তির নাম! আন্দ্রে আগাসির ছেলে ইয়েডেন আগাসি এবার আসছেন খেলার মাঠে। 

বাবা আগাসির চেয়েও টেনিসে সফল ছিলেন তার মা স্টেফি গ্রাফ। তিনি তার ক্যারিয়ার শেষ করেছিলেন ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম নিয়ে। সঙ্গে ছিল অলিম্পিক সোনাও। তাদের ছেলে হয়ে কি-না ইয়েডেন বেছে নিলেন অন্য খেলা!

আগাসিপুত্র ইয়েডেন ছোটবেলা থেকেই বেসবলের প্রতি গভীর ভালোবাসা অনুভব করেছেন। অবশেষে তিনি সে খেলাতেই ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার টুসনে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড বেসবল ক্লাসিক কোয়ালিফায়ারে জার্মানির জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করবেন ইয়েডেন আগাসি। 

তার মা স্টেফি গ্রাফ জার্মানির নাগরিক হওয়ায় তিনি সে দেশের হয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। যদি জার্মানি মূল পর্বের টিকিট নিশ্চিত করতে পারে, তবে ২০২৬ সালের আসরে তিনি অংশগ্রহণ করবেন।

আগাসি পরিবার/ছবি- সংগৃহীত

বেসবলের প্রতি নিজের টান সম্পর্কে ইয়েডেন আগাসি বলেন, ‘আমি ছয় বছর বয়স থেকে টি-বল খেলা শুরু করি। তখন থেকেই এই খেলাটি আমার ভালো লেগে যায়। আমি বহুবার টেনিস র‍্যাকেট হাতে নিয়েছি, তবে টেনিস কোর্টের সীমার মধ্যে বল রাখতে আমার সবসময়ই সমস্যা হতো। আমি সবসময় চাইতাম বলটিকে যতদূর সম্ভব আঘাত করে পাঠিয়ে দিতে। তাই শুরু থেকেই বেসবলই আমার ভালোবাসা ছিল।’

তবে বেসবল ক্যারিয়ার শুরুর পর সহজ পথ পাড়ি দেননি ইয়েডেন। ২০১৯ সালে তার হাতে গুরুতর চোট লাগে, যা তার ক্যারিয়ারের গতিকে শ্লথ করে দেয়। এরপর আসে কোভিড-১৯ মহামারী, যা তার খেলাধুলায় আরও বড় ধাক্কা দেয়। দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকার কারণে প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় তিনি পিছিয়ে পড়েন। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি এবং ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার হয়ে বেসবল খেলেন।

বেসবল ক্যারিয়ারে নিজের পারফরম্যান্স এবং মানসিকতা সম্পর্কে ইয়েডেন বলেন, ‘আমি খুবই ধীরস্থির এবং ঠান্ডা মস্তিষ্কের খেলোয়াড়। আমি সবসময় সামনে তাকাই এবং পরবর্তী পিচের (বল ছোড়ার) দিকেই মনোযোগ দিই, কারণ সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

বাবা আন্দ্রে আগাসির সঙ্গে নিজের বেসবল দক্ষতার তুলনা করে ইয়েডেন বলেন, ‘আমার বাবার প্রতি কিছুটা শ্রদ্ধা দেখিয়ে বলতেই হয়, তিনি অনেক আগে একবার নাইকের একটি বিজ্ঞাপনে ফেনওয়ে পার্কে ব্যাটিং অনুশীলন করেছিলেন। তিনি এটিকে টেনিসের ব্যাকহ্যান্ডের মতো করে নিয়েছিলেন এবং খুব ভালোভাবেই বল আঘাত করেছিলেন।’

অন্যদিকে, মায়ের কাছ থেকে পাওয়া গুণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমার মায়ের মতোই শান্ত ও স্থির প্রকৃতির খেলোয়াড় আমি। তিনি যেভাবে ম্যাচে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতেন, আমিও ঠিক সেভাবেই নিজের মানসিক অবস্থা ধরে রাখার চেষ্টা করি।’

ইয়েডেন আগাসি এখন নিজের স্বপ্নের পথে এগিয়ে চলেছেন এবং বেসবলে ‘আগাসি’ নামটিকে পরিচিত করার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম