ছবি: সংগৃহীত
চোট নিয়েই তিনি খেলছিলেন। কোয়ার্টার ফাইনালে মাঠেই মেডিক্যাল সেবা নিয়েছিলেন নোভাক জোকোভিচ। সেমিফাইনালের আগে অনুশীলনেও আসেননি। যে শঙ্কা ছিল, সেটিই ঘটেছে। ইতিহাস গড়ার দুই কদম দূরে থেকেই সরে যেতে হয়েছে জোকারকে। তবে এখানেই শেষ নয়। শেষ দুবছরে চোটের সঙ্গে লড়াই করা সার্বিয়ান তারকা জানালেন, ইতিহাস গড়েই তবে থামবেন।
মেলবোর্নের রড লেভার অ্যারেনায় গতকাল আলেক্সান্ডার জেরেভের বিপক্ষে ভালোই লড়ছিলেন। কিন্তু বাগড়া দেয় চোট। সেমিফাইনালের প্রথম সেট শেষেই কোর্ট ছেড়ে যেতে হয় তাকে। তাতেই ভাঙে রেকর্ড ২৫ গ্র্যান্ড স্ল্যামের স্বপ্ন। তবে ৩৭ বর্ষী সার্বিয়ান তারকা চোটের বিরুদ্ধে লড়ে যেতে চান, উঁচিয়ে ধরতে চান আরও গ্র্যান্ড স্ল্যাম।
পরের গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফরাসি ওপেন। শুরু হবে মে মাসের শেষ দিকে। ততদিনে ৩৮ বছর বয়স হয়ে যাবে জোকারের। চোট সারিয়ে তখন কি সুস্থ হতে পারবেন? ইনজুরি নিয়ে চিন্তিত নন জোকোভিচ, ‘চোটের মাত্রা নিয়ে চিন্তা করছি না। এমন নয় যে আমি এটা নিয়ে খুব ভাবছি। এখন প্রতিটা গ্র্যান্ড স্ল্যামই হয়ে গেছে, আমি চোট পাব না কি পাব না। শেষ দুই বছরে পরিসংখ্যান আমার পক্ষে নেই। সত্যিই আমি শেষ কয়েক বছরে বেশি চোট পাচ্ছি।’
গতকাল অস্ট্রেলিয়ান ওপেনসহ ক্যারিয়ারে সপ্তমবারের মতো মেজর কোনো টুর্নামেন্টের কোনো পর্যায় থেকে সরে দাঁড়ালেন জোকার। ২০১৯ সালের পর প্রথম বারের মতো হলো এমন ঘটনা। ২০১৯ সালের ইউএস ওপেনের শেষ ষোলোয় এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল তাকে। সেমিফাইনাল থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘটনা ঘটল দ্বিতীয় বারের মতো। চোটের কারণে ২০০৭ সালের উইম্বলডনের সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল তাকে।
গত বছর হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছিল জোকোভিচের। তার দেড় মাসের মধ্যে উইম্বলডনের ফাইনালে আলকারাজের বিপক্ষে হেরেছিলেন। অস্ত্রোপচারের তিন মাস পর আলকারাজকে হারিয়েই প্যারিস অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছিলেন জোকোভিচ। এবার দেখার বিষয় কতদিনে ফিট হয়ে মাঠে ফিরতে পারেন জোকোভিচ।
তবে এখনই অবসরের কথা চিন্তা করছেন না সার্বিয়ান তারকা, ‘চোটে কেন পড়ছি, বুঝতে পারছি না। হয়তো একাধিক কারণ আছে। তবে আমি খেলা ছাড়ছি না। আরও গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার জন্য নামব। যেদিন মনে হবে সব কিছু তুলে রাখি, সেদিন ছেড়ে দেব।’