যেসব শর্ত ভাঙলে নিষিদ্ধ হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:২৬ পিএম
ছবি-ভিডিওর পাশাপাশি জরুরি ফাইল আদান-প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যক্তিগত চ্যাট কিংবা অফিসের কাজের জন্য কোটি কোটি ব্যবহারকারীদের নির্ভরশীল প্ল্যাটফর্ম এটি। বিষয়টি উপলব্ধি করেই টেক জায়ান্ট কোম্পানি মেটা তাদের এ প্ল্যাটফর্মটিকে ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ রাখতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে।
নিরাপত্তার দিকটি আরও শক্তিশালী করতে হোয়াটসঅ্যাপ নিয়মিত তাদের সাইটটিতে নতুন নতুন নিয়ম যুক্ত করছে। এসব নিয়ম না মানলে যেকোনো সময় ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টটি নিষিদ্ধ হতে পারে।
এবার দেখে নেওয়া যাক সেসব নিয়ম বা শর্তগুলো-
থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করলে
অনেক ব্যবহারকারী অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করার পরিবর্তে থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করেন। যেমন হোয়াটসঅ্যাপ ডেল্টা, জিবিওয়াটসঅ্যাপ এবং হোয়াটসঅ্যাপ প্লাসের মতো নামসহ অনেক অ্যাপ পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপ এসব অ্যাপসের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। কেউ যদি এই তৃতীয় পক্ষের অ্যাপগুলো ব্যবহার করে, তাহলে তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
অন্য কারো নামে অ্যাপ ব্যবহার করলে
আপনি যদি অন্য কারো নাম, প্রোফাইল ফটো এবং পরিচয় দিয়ে মেসেজ করেন তবে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টও নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে। এটি হোয়াটসঅ্যাপের কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হয়৷ আপনি যদি কোনো সেলিব্রিটি, ব্র্যান্ড বা সংস্থার ছদ্মবেশে অ্যাপ চালান, তাহলেও আপনার অ্যাকাউন্টও নিষিদ্ধ হতে পারে।
অপরিচিত কাউকে বারবার মেসেজ করলে
আপনি যদি সারাদিন এমন লোকেদের বার্তা পাঠান, যারা আপনার যোগাযোগের তালিকায় নেই, সে পরিস্থিতিতে আপনার বার্তাগুলো স্প্যাম হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে।
কাউকে হুমকি দিলে
আপনি যদি কাউকে হয়রানি বা হুমকি দেওয়ার উদ্দেশে মেসেজ পাঠান, তবে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়াও ঘৃণ্য বা আপত্তিকর বার্তা পাঠানোর জন্যও আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
আপনার অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করলে
যদি অনেক ব্যবহারকারী আপনার অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করে, তাহলে কোম্পানি আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। কোম্পানি আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে পারে। আপনাকে রিপোর্ট করা ব্যক্তিটি আপনার পরিচিতি তালিকার অংশ কি না তা বিবেচ্য নয়।