৫ ঘণ্টা পর মোবাইল ইন্টারনেটে চালু ফেসবুক-মেসেঞ্জার, বন্ধ টেলিগ্রাম
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৪, ০৮:১৮ পিএম
মোবাইল ইন্টারনেটে পাঁচ ঘণ্টা পর ফের চালু করা হয়েছে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার পর মোবাইল ইন্টারনেটে ফের সচল হয়েছে এ দুটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। তবে প্রক্রিয়াগত কারণে সবার ক্ষেত্রে চালু হতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাত-সংঘর্ষে নিহতদের বিচার দাবিতে শুক্রবার গণমিছিল কর্মসূচি দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ কর্মসূচিকে ঘিরে এদিন দুপুর ১২টার পর থেকে মোবাইল ইন্টারনেটে ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও রাশিয়াভিত্তিক মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম বন্ধ করা হয়।
সন্ধ্যার পর ফেসবুক ও মেসেঞ্জার চালু হলেও টেলিগ্রামের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
এর আগে গত ১৭ জুলাই রাত ৯টা থেকে ২৩ জুলাই দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধ ছিল। ২৩ জুলাই বেলা ২টার পর থেকে সেগুলো চালু হয়। দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১২ কোটির বেশি।
রাজধানীসহ সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা শুরু হলে ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে। আর ১০ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু করে সরকার। এ সময় ব্রডব্যান্ড সংযোগে ইউটিউব চালু থাকলেও মোবাইল ডেটায় তা বন্ধ ছিল। সঙ্গে বন্ধ ছিল ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও।টিকটক।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় ফেসবুকের ভূমিকার কথা বলেছিলেন। ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে এসব প্ল্যাটফর্মগুলোর কাছে চিঠিও দিয়েছিলেন। তিনি ৩১ জুলাই ফেসবুকের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করেন। ইউটিউব ই–মেইলে ব্যাখ্যা দেয় এবং টিকটকের প্রতিনিধি সেদিন হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন।
আন্দোলনের মধ্যে সরকার ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউবের কাছে কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ করেছিল। এসব বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার জানান, ১৬ থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত ফেসবুক সরকারের অনুরোধের বিপরীতে ১৩ শতাংশ এবং ২৫ থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ৭ শতাংশের বেশি কন্টেন্ট সরিয়েছে। ইউটিউব ১৭ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত সরিয়েছে প্রায় ২১ শতাংশ। টিকটক সরিয়েছে প্রায় ৬৮ শতাংশ কন্টেন্ট।