
প্রিন্ট: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০৯ পিএম
খাতায় অঙ্ক কষে বাবরদের হারিয়েছেন শাদাবরা

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১২ এএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
বাবর আজমের পেশোয়ার জালমি নিয়ে বিস্তর সমালোচনা। কোয়েটা গ্লাডিয়েটরসের বিপক্ষে নামার ৪৮ ঘণ্টা আগে বিরিয়ানি খেয়েছিল পুরো দল। আগের ম্যাচের মতো এদিনও যেন ঘুমিয়ে ছিলেন সবাই। বোলিংয়ে হতশ্রী দিনে ব্যাটিংয়ে হয়েছেন পর্যদুস্ত। পিএসএলে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষেও জয় আসেনি। হার দেখতে হয়েছে ১০২ রানের। ব
রাওয়ালপিন্ডিতে গতকাল ৫ উইকেট হারিয়ে ইসলামাবাদ এনেছিল ২৪৩ রান। জবাবে ১৪১ রানেই গুঁটিয়ে গেছে বাবররা। এমন দাপটের পর ইউনাইটেডের অধিনায়ক শাদাব খান কৃতিত্ব দিচ্ছেন পুরো দলকে। আলাদা করে সামনে টেনেছেন দুটি দিক—শাহিবজাদা ফারহানের সেঞ্চুরিনামা ও নিজেদের খাতা-কলমে কষা পরিকল্পনা।
ম্যাচ শেষে সতীর্থদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সাদাব, ‘আমরা তথ্য নির্ভর একটি দল। আমরা আজ (গতকাল) টস জিতেছি। শেষ ম্যাচেও টসভাগ্য আমাদের পক্ষে ছিল। যদি আপনি পরিসংখ্যানে তাকান—আমরা দারউইসকে দলে টেনেছি। সে বোলিংয়ে দারুণ কিছু করেছে। প্রচুর পরিশ্রমের মূল্য হিসেবে পুরো কৃতিত্ব শাহিবজাদার।’

পেশোয়ারের বোলারদের নাকের জলে চোখের জলে করার দিনে শাহিবজাদা ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৫টি, চার মেরেছেন ১৩টি। ৫২ বলে ১০৬ রান জমা করে থেমেছেন। তার গতি আনা ব্যাটিংয়ে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে তড়িৎ গতিতে এগিয়েছে ইসলামাবাদ। ওপেনার আন্দ্রে গুইস ডাক মারার পর দৃঢ় হাতে চাপ সামলেছেন কলিন মুনরো। একপাশে শাহিবজাদা যখন রাজত্ব করছিলেন তখন অপরপাশে শাসন করছিলেন মুনরো। ২৭ বলে করেন ৪০ রান।
এরপর ছোট ছোট ঝড়ে রান দেড়শ থেকে দুইশ ছাড়িয়ে আড়াইশ রানের দিকে এগোয় ইসলামাবাদ। ১৩ ওভারে ১৬০ রান তুলে দিয়ে শাহিবজাদা ফেরেন। পরে আজম খানের ৯ বলে ১৬ রান, সালমান আগার ১৫ বলে ৩০ রান এবং জেসন হোল্ডারের ১১ বলে ২০ আর বেন দারউইসের ৬ বলের ১৮ রানের তাণ্ডব— সব মিলিয়ে ২৪৩ রান।
পাহাড়সম সেই লক্ষ্যে শুরুতেই পা পিছলে পড়ে ইউনাইটেড। বাবর (১) হন মোটাদাগে ব্যর্থ। সাইম আইয়ুবও (৬) থামেন দ্রুত। ১৬ রানের মাঝে দুই ওপেনারকে হারিয়ে যখন দিশেহারা তখন হাল ধরেন মোহাম্মদ হারিস। তবে একাই যা লড়েন। বাকিদের প্যাভিলিয়নের পথ দেখাতে ব্যস্ত রাখেন ইমাদ ওয়াসিম, বেন দারউইসরা। ইমাদ নেন তিনটি উইকেট, শাদাবের ঝুলিতে আসে দুটি। বেন দারউইস সারেন বড় কাজ। বাবরকে বোকা বানানোর পর শেষের উইকেটটাও ঝুলিতে পোরেন ইসলামাবাদের তারকা।
পেশোয়ারের ঘাম ছুটে যাওয়ার দিনেও ব্যাটিংয়ে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন হারিস। ৪৭ বলের ইনিংস সাজান চার ছক্কা ও ১২ চারে। আনেন ৮৭ রান। তবে ওসব সার হয় বড় হারে। ১৪১ রানের বেশি পেশোয়ারের ব্যাটাররা যেতে পারেনি। ম্যাচের একদিন আগে বিরিয়ানি খাওয়া বাবররা কোয়েটার কাছে পর্যদুস্ত হয়েছিল। হেরেছিল ৮০ রানে। গতকাল হারে ১০২ রানের ব্যবধানে।