
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪০ এএম
সতীর্থের কাছে ক্ষমা চাইলেন রাফিনিয়া, কেন?

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৯ পিএম

আরও পড়ুন
আর্জেন্টিনা ম্যাচের পর থেকেই ফর্মটা যেন পড়তির দিকে ছিল রাফিনিয়ার। তবে বরুসিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে তা পেছনে ফেলেছেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। এক গোল করেছেন, দুটো গোল করিয়েছেন। তাতেই বার্সেলোনা বরুসিয়াকে উড়িয়ে দিয়েছে ৪-০ গোলে।
তবে চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে বার্সেলোনার এই ম্যাচে সবচেয়ে আলোচিত গোলটি ছিল রাফিনিয়ার। ম্যাচের শুরুতে ফ্রি কিক থেকে ইনিগো মার্তিনেজের মাথা ছুঁয়ে পাউ কুবারসির পায়ে এসে পড়ে বল। তার শট প্রায় নিশ্চিতভাবেই গোললাইনের দিকে এগোচ্ছিল। তবে ঠিক শেষ মুহূর্তে রাফিনিয়া সামনে গিয়ে বলে হালকা টোকা দেন। ভাগ্য ভালো, তিনি অফসাইডে ছিলেন না। গোলটা চলে যায় রাফিনিয়ার নামে।
ম্যাচ শেষে রাফিনিয়া বলেন, ‘আমি খুবই চিন্তায় ছিলাম যে আমি অফসাইড কিনা। আমার সন্দেহ ছিল। আমি কুবারসিকে বলেছি যে, আমি বল স্পর্শ করেছি গোললাইনের আগে এবং গোলটা সম্ভবত আমার হয়েছে। আমি তাকে ক্ষমা চেয়েছি, তবে সে বলেছে ওর কোনো সমস্যা নেই।’
তবে বিষয়টা যে খুব বেশি ভেবেচিন্তে হয়েছে, তা নয়। রাফিনিয়া বলেন, ‘সেই মুহূর্তটা খুব দ্রুত ঘটে গেছে। আমি ভেবেছিলাম বলটা হয়তো বাইরে চলে যেতে পারে। এছাড়াও, আমি নিজেও গোল করতে চাচ্ছিলাম।’
এই গোলের মাধ্যমে রাফিনিয়ার চ্যাম্পিয়নস লিগে মৌসুমে গোলসংখ্যা দাঁড়াল ১২-তে। রাফিনিয়া বার্সেলোনার আক্রমণভাগে লামিন ইয়ামাল ও রবার্ট লেভান্ডভস্কির সঙ্গে তার দারুণ বোঝাপড়ার কথাও তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমি এমন খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলতে ভালোবাসি যারা বিশ্বমানের। আমরা এখন দারুণ কিছু সংখ্যা গড়ে তুলছি এবং চাই এই ধারাটা বজায় থাকুক।’
তবে কোচ হ্যান্সি ফ্লিকের মতোই রাফিনিয়ার মনেও আত্মতুষ্টির কোনো জায়গা নেই। তিনি বলেন, ‘আমি এখনও বলব না যে আমরা সেমিফাইনালে উঠে গেছি। আরেকটি ম্যাচ বাকি আছে এবং ওদের মাঠে খেলাটা সবসময়ই কঠিন। নিজেদের দর্শকদের সামনে ওরা দুর্দান্ত খেলে। তাই আমাদের ফলটা ভালো হলেও, একইভাবে মনোযোগ ধরে রাখতে হবে।’