
প্রিন্ট: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৫ পিএম
টেস্টে উন্নতির বাধা কোথায়, জানালেন মুমিনুল

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
দায় ওঠানো আঙুলটা নিজের দিকেও পড়ে। মুমিনুল হক জানেন, মানেনও। বিকেএসপিতে বুধবার বাংলাদেশ দলের ব্যাটার তবুও অকপটে জানালেন, টেস্টে উন্নতি যতটা হওয়ার প্রয়োজন ছিল, তার এতটুকুও হয়নি। কেন হয়নি, সেই উত্তরে দোষ দিয়েছেন নিজের ইউনিট তথা ব্যাটিং ইউনিটকে।
সাদা পোশাকের ক্রিকেটে টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক মনে করেন, টেস্টে যা কিছু গত কয়েকবছরে এসেছে তার প্রায় পুরোটার কৃতিত্ব পেসারদের। একই সঙ্গে ব্যাটিং ইউনিটের ব্যর্থতার কথাও বলেছেন। শুনিয়েছেন আশ্বাসও। মুমিনুলের মতে, বোলারদের মতো ব্যাটাররা আরেকটু দায়িত্বশীল হলে ফল আরও ভালো পেত বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি টেস্ট সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করেছেন মুমিনুল। টাইগার টপ অর্ডার ব্যাটার প্রতিপক্ষকে ছোট মনে করতে চান না, হার বা ড্র নয়—স্রেফ জিততে চান। তার আগে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের গত চক্রের খেরোখাতা খুলে বসেন মুমিনুল।
টাইগার টপ অর্ডার ব্যাটার বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় না আমরা খুব ভালো টেস্ট খেলেছি। নির্দিষ্ট কারও কাছে হয়ত মনে হয়। ব্যক্তিগতভাবে খুশি হতাম যদি দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে দেশের মাটিতে সিরিজ জিততে পারতাম। তাহলে হয়ত বলতাম পারতাম আমাদের পুরো চক্রটা ভালো হয়েছে।’
শেষ হওয়া চক্রে বাংলাদেশ সাত নম্বরে থেকেছে। আছে কয়েকটি দুর্দান্ত জয়। পাকিস্তানের মাটিতে এসেছে সিরিজ জয়। তবুও কেন মুমিনুলের কাছে এই চক্রটিও ব্যর্থ মনে হচ্ছে, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, ‘১০টা টেস্ট ম্যাচ খেলে তার মধ্যে চারটা জিতেছি। অন্তত আরও দুইটা ম্যাচ জিতলে র্যাঙ্কিং আরও উপরে থাকতো। আগের চক্রে আমরা ৮ (নবম) নম্বরে ছিলাম, এবারও ৮ (সপ্তম) নম্বরে। আমার কাছে মনে হয় না খুব বেশি উন্নতি করেছি। উন্নতির জায়গা হলো আমাদের বোলিংটা উন্নতি করেছে, এটাই।’
মুমিনুলের বিশ্বাস, ব্যাটাররা দায়িত্ব নিলে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে বাংলাদেশ বহুদূর যাবে। সেই ক্ষেত্রে নিজেকেও ভেঙেচুরে গড়ছেন মুমিনুল। সবশেষ কয়েকটি ম্যাচে টপ অর্ডারে তিনিও ছিলেন না আশানুরূপ। তবে সব ভুলে জয় পাওয়ার মানসিকতা নিয়ে লড়তে চান মুমিনুল।
এ মাসেই দুটি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসবে জিম্বাবুয়ে। ইতোমধ্যে দলও ঘোষণা করেছে দেশটি। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচ ২০ এপ্রিল। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু ২৮ এপ্রিল। লাল বলের লড়াইয়ে মুমিনুলের চাওয়া শুধুই জয়।