
প্রিন্ট: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম
এবাদত যে কারণে জিম্বাবুয়ে সিরিজে নেই

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৭ পিএম

আরও পড়ুন
এবাদত হোসেন এই দুই বছর আগেও জাতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন। তবে তাতে ছেদ পড়ে হাঁটুর লিগামেন্টে চোটের কারণে। ২০২৩ সালে যে ছিটকে পড়লেন, আর ফিরতে পারেননি।
ফিরবেন কী করে? চোটের কারণে তো গেল বছর এনসিএল টি-টোয়েন্টির আগ পর্যন্ত মাঠেই নামতে পারেননি। সে এনসিএল শেষে তিনি ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলেছেন বিপিএলে, জিতেছেন শিরোপাও।
এরপর এবার চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও তিনি খেলছেন, পারফর্মও করছেন। এই তো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে সবশেষ ম্যাচেও তিনি তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট, তাও আবার মাত্র ২৭ রান খরচায়।
এবাদতের জাতীয় দলে ফেরাটা তাই আলোচনায় ছিল। সেটা শুধু সমর্থকদের নয়, নির্বাচকদের টেবিলেও উঠে এসেছিল। যদিও শেষমেশ জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলে জায়গা হয়নি তার। তাসকিন আহমেদ যখন চোট নিয়ে ছিটকে গেলেন দল থেকে, তখন তার জায়গায় দলে ঢুকলেন তানজিম হাসান সাকিব।
এবাদত জাতীয় দলে ফেরেননি, বললে ভুল হবে। গেল বছর ভারত সফরে তিনি দলের সঙ্গে ছিলেন। শুধু মাঠের ক্রিকেটে খেলা হয়নি, এই যা।
তবে এবাদত এবার স্কোয়াডে ফেরার জোর আলোচনাতেই ছিলেন। শেষমেশ তার প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াল ফরম্যাট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ শুধু টেস্টই খেলবে। আর এই ফরম্যাটে এবাদত খেলেননি গেল বছরের নভেম্বরের পর থেকে। সে ম্যাচটাতেও তিনি বল করেছিলেন একেবারে সীমিত পরিসরে, মাত্রই যে চোট থেকে ফিরেছিলেন।
সে কারণেই তাকে লাল বলের ক্রিকেট খেলানোটাকে খানিকটা ঝুঁকির বিষয়ই মনে করেছে নির্বাচক প্যানেল। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘লাল বলে ইবাদতকে খেলানোটা এখনো ঝুঁকিপূর্ণ মনে হচ্ছে। চার দিনের ম্যাচ খেলে টেস্ট খেলাটা ভালো হবে তার জন্য।’
এ তো গেল টেস্ট। বাংলাদেশের পরবর্তী অ্যাসাইনমেন্ট বেশিরভাগই সাদা বলের। এবাদত নিয়মিত যে দুই ফরম্যাটে খেলছেন, পারফর্মও করছেন। সে সব অ্যাসাইনমেন্টে তাই তার জন্য দুয়ার খুলতে চলেছে, প্রধান নির্বাচকের কথায় অন্তত আভাস মিলছে এমনই।