
প্রিন্ট: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম
টানা তিন জয়ে শীর্ষে দিল্লি, হারের হ্যাটট্রিক চেন্নাইয়ের

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৩ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
আইপিএলের শুরু থেকেই চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে দুর্গ তাদের ঘরের মাঠ। কিন্তু এবার সে দুর্গে পতাকা উড়িয়েছে অনেকেই। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে হারের পর আরো একবার ঘরের মাঠে তরী ডুবল তাদের। দিল্লির তোলা ৬ উইকেটে ১৮৩ রানের জবাব দিতে নেমে চেন্নাই থেমেছে ৫ উইকেটে ১৫৮ রানে। হার ২৫ রানে।
চেন্নাইয়ের পিচ এমনিতেই মন্থর। তাই পরে ব্যাট করতে নেমে ১৮৪ রান তোলা সহজ ছিল না। দীর্ঘ দিন পর ওপেনিং জুটিতে ফিরেছিলেন রাচিন রবীন্দ্র এবং ডেভন কনওয়ে। তবে এই আইপিএলে যেভাবে চেন্নাইকে ওপেনিং জুটি ভোগাচ্ছে, তা শনিবারও অব্যাহত। দ্বিতীয় ওভারেই বাংলার মুকেশ কুমারের বলে তার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রাচিন। আশা ছিল রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের উপরে। তিনিও ব্যর্থ। পাঁচ রান করে মিচেল স্টার্কের বলে জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্কের হাতে ক্যাচ দেন।
২০ রানে ২ উইকেট হারানো চেন্নাইয়ের সেই সময়ে দরকার ছিল বড় একটা জুটি। কিন্তু কনওয়ে, দুবে, জাদেজাদের ব্যর্থতায় বিপদ বাড়ে চেন্নাইয়ের। এরপর ধোনি-শঙ্কররাও চেন্নাইকে আশা জোগাতে পারেননি। তারা দুজনে মিলে প্রায় ১০ ওভার ব্যাট করা সত্ত্বেও চেন্নাইকে জয় এনে দিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত শঙ্কর অপরাজিত ছিলেন ৬৯ রানে। ধোনি করেছেন ৩০ রান।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্লির অধিনায়ক অক্ষর পটেল। চেন্নাইয়ের মাঠে দুপুরে খেলা থাকলে আগে ব্যাট করাই প্রথা। আগের ২০টি ম্যাচের ১৮টিতেই আগে ব্যাট করেছে টসে জয়ী দল।
তবে দিল্লির শুরুটা ভালো হয়নি। খলিল আহমেদের প্রথম চারটি বল কোনও মতে খেলে দেওয়ার পর পঞ্চম বলে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের হাতে ক্যাচ দেন জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক।
দিল্লি এ দিন পায়নি ফাফ ডুপ্লেসিকে। অক্ষর জানান, ডুপ্লেসির শরীর খারাপ। ফলে ম্যাকগার্কের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন কেএল রাহুল। অভিষেকের সঙ্গে জুটি বেধে তিনিই দলের হাল ধরেন। অভিষেক বেশ আগ্রাসী খেলেন। মুকেশ চৌধুরির একটি ওভার থেকে ১৯ রান নেন। তবে পাওয়ার প্লে-তে বেশি রান তুলতে পারেনি দিল্লি।
সপ্তম ওভারে জাদেজা তুলে নেন অভিষেককে (৩৩)। চারে নামা অক্ষর প্রথম বলেই জাদেজাকে ছয় মারলেও রাহুলের সঙ্গে লম্বা জুটি গড়তে পারেননি। একটা দিক রাহুল ধরে রাখলেও অপর দিক থেকে উইকেট পড়ছিল। শেষ দিকে এসে ট্রিস্টান স্টাবস (১২ বলে অপরাজিত ২৪) কিছুটা চেষ্টা করেন। শেষ ওভারে রাহুলও ফিরে যান। চেন্নাইয়ের সফলতম বোলার খলিল ২৫ রানে ২ উইকেট নেন।
এই জয়ে তিন ম্যাচ থেকে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠেছে দিল্লি। অন্যদিকে চার ম্যাচের তিনটিতে হেরে ২ পয়েন্ট পাওয়া চেন্নাইয়ের অবস্থান অষ্টম।
ঘটনাপ্রবাহ: আইপিএল- ২০২৫
আরও পড়ুন