
প্রিন্ট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৮ পিএম
‘জিম্বাবুয়ে সিরিজে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ নেই’– বললেন তিনি

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৯ এএম

আরও পড়ুন
ঈদের ছুটি শেষে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ফিরছে মাঠে। তবে দলগুলো জাতীয় ক্রিকেটারদের ৯ এপ্রিলের পর পাবে না। কারণ নাজমুল হোসেন শান্তর দল তখন ব্যস্ত হয়ে পড়বে জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রস্তুতিতে।
এই সিরিজটায় বাংলাদেশ লিটন দাসকে পাচ্ছে না। নাহিদ রানাও খেলবেন একটি মাত্র ম্যাচে। তাই তাদের অনুপস্থিতিতে নতুনদের সুযোগ করে দেওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে আলোচনার শেষ নেই।
সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল তার অভিমত জানিয়েছেন, বাংলাদেশের এই সিরিজে তরুণদের সুযোগ দেওয়া উচিত। তবে বিষয়টির সঙ্গে একমত নন নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক। তিনি জানিয়েছেন, এই সিরিজে পরীক্ষা-নিরীক্ষার খুব একটা সুযোগ নেই দুদলের সামনে।
বাংলাদেশ নিজেদের শেষ ২৯ ম্যাচের ৮টিতে জিতেছে। যাতে আছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই আর সিলেটের মাটিতে দুটো দারুণ জয়। সঙ্গে আছে পাকিস্তানের মাটিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ২০০৯ সালের পর প্রথম জয়ও। ওদিকে জিম্বাবুয়ে শেষ ৪ বছর ধরে জয়ের খাতাই খুলতে পারেনি।
দুই দলের এমন পার্থক্য তো আছেই, বাংলাদেশের সূচিটাও মাথায় রাখতে হবে। আগামী ২ বছরে ১৮টি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। তাই প্রশ্ন চলেই আসছে, এই সিরিজে কি তরুণদের সুযোগ দিয়ে পরীক্ষা করানো যায়?
তবে নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক সেসবের সুযোগ দেখছেন না। তিনি বললেন, ‘আসলে আমাদের প্রথমে দলটা গুছানো উচিত। এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ একেবারেই নেই।’
কেন? তিনি বললেন অভিজ্ঞতার অভাবের কথা। তার ভাষ্য, ‘মুশফিক বাদে ২০ টেস্ট খেলা ক্রিকেটার আমাদের খুব একটা নেই। তো এই সিরিজে আমাদের এই তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতে হবে, সামনে আমাদের বড় সিরিজ আছে, সেসবের জন্য প্রস্তুত হতে দিতে হবে তাদেরকে।’
মুশফিকুর রহিম সেঞ্চুরির দুয়ারে বসে আছেন। আর ৬ টেস্ট খেললেই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিন অঙ্কের টেস্ট খেলার কীর্তি গড়বেন তিনি। তাকে ছাড়াও বাংলাদেশের দলটা কম অভিজ্ঞ নয়। মুমিনুল হকের অভিজ্ঞতার ঝুলিতে আছে ৬৯টি টেস্ট। তাইজুল ইসলাম আর মেহেদি হাসান মিরাজ খেলেছেন ৫১টি টেস্টে।
তবু নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক দলে অভিজ্ঞতার অভাব দেখছেন। বিষয়টা বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে বৈকি!