
প্রিন্ট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩২ পিএম
জিম্বাবুয়ে সিরিজে কাদের সুযোগ দেওয়া উচিত, জানালেন আশরাফুল

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৬ এএম

২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ/ফাইল ফটো
আরও পড়ুন
জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে চার মাসের বিরতি শেষে আবারও টেস্ট আঙিনায় ফিরছে বাংলাদেশ। এই সিরিজে একাধিক ক্রিকেটারকে পাচ্ছে না দল। এই সিরিজকে তাই নতুনদের বাজিয়ে দেখার সুযোগ হিসেবে দেখছেন সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল।
আফ্রিকান এই দলের বিপক্ষে ২০০৫ সালে প্রথম টেস্টটা জেতে বাংলাদেশ। এরপর থেকে তাদের বিপক্ষে দলের জয় ৮টি, তার বিপরীতে তিনটি ম্যাচে মোটে হেরেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। সবশেষ হারটাও সেই ২০১৮ সালে এসেছে।
শেষ কয়েক বছরে দুই দলের ফারাকটা আরও বেড়েছে। গেল বছর পাকিস্তানের মাটিতে স্বাগতিকদের হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। ওদিকে জিম্বাবুয়ে শেষ ৪ বছর ধরে কোনো টেস্টই জেতেনি। যার ফলে এই সিরিজে পরিষ্কার ফেভারিট স্বাগতিক বাংলাদেশই।
এই সিরিজে অভিজ্ঞ ব্যাটার লিটন দাস নেই। পাকিস্তান সুপার লিগে খেলতে তাকে এনওসি দিয়েছে বিসিবি। সঙ্গে টেস্ট দলের নিয়মিত মুখ নাহিদ রানাকেও দল পাবে এক ম্যাচে। তাই দুজনের ফাঁকা জায়গা অন্তত একটা টেস্টে থেকেই যাচ্ছে।
এ সুযোগটাই তরুণদেরকে দিতে চাইলেন আশরাফুল। বর্তমানে ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাবের প্রধান কোচের বিশ্বাস, সবশেষ জাতীয় ক্রিকেট লিগ থেকে একাধিক ক্রিকেটারের এ সুযোগটা প্রাপ্য।
সবশেষ জাতীয় লিগে সর্বোচ্চ রান আর সর্বোচ্চ উইকেট দুটোই গেছে জাতীয় দলের সার্কিটের বাইরের দুই ক্রিকেটারের দখলে। সর্বোচ্চ রান করেছিলেন সিলেট বিভাগের অমিত হাসান, ১২ ইনিংসে ৭৮.৫ গড়ে তিনি করেছিলেন ৭৮৫ রান। ওদিকে সর্বোচ্চ উইকেট গিয়েছিল ঢাকার পেসার এনামুলের দখলে। ১৪ ইনিংসে বল করে তিনি ১৫.৪১ গড়ে তিনি তুলে নেন ৩৬ উইকেট।
এদিকে শীর্ষ তিন ব্যাটারের একজন অমিত মজুমদার করেছিলেন ৫৮৭ রান। শীর্ষ তিন বোলারের বাকি দুইজনও জাতীয় দলে ডাক পাননি কখনো। আশরাফুল ইসলাম রোহান ২৮, আর রুয়েল মিয়া ২৫ উইকেট শিকার করে আলো কেড়ে নিয়েছিলেন জাতীয় লিগে।
তাদের নাম প্রকাশ্যে না বললেও আশরাফুলের ইঙ্গিত, জাতীয় লিগের পারফর্মারদেরই সুযোগটা প্রাপ্য। বিশেষত প্রতিপক্ষটা যখন জিম্বাবুয়ে, যারা শেষ চার বছরে জয়ের দেখা পায়নি।
সম্প্রতি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এনসিএলে যারা ভালো করেছে, তাদের এখানে সুযোগটা দেওয়া দরকার। আমার মনে হয় জিম্বাবুয়ের মতো দলের বিপক্ষে দুই কিংবা তিনজন খেলোয়াড়কে আমরা সুযোগটা দিতেই পারি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরু হবে আগামী ২০ এপ্রিল। প্রথম ম্যাচটা হবে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। এরপর চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ম্যাচে দুই দল মুখোমুখি হবে আগামী ২৮ এপ্রিল।