
প্রিন্ট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৫ পিএম
আইপিএলে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন রশিদ, কেন হচ্ছে এমন?

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৪ এএম

আরও পড়ুন
চার ওভার বল করে মাত্র ২২ রান দিয়ে জিতেশ শর্মা ও ক্রুনাল পান্ডিয়াকে আউট করেন সাই কিশোর। অন্যদিকে, রশিদ খান ছিলেন উইকেটশূন্য, খরচ করেন ৫৪ রান। লিয়াম লিভিংস্টোন একাই করেন তার বিরুদ্ধে ১৭ বলে ৩৯ রান—এক টি-টোয়েন্টিতে রশিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যাটারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস এটি।
রশিদ যেখানে এক গতিতে (গড় ৯৪.৬৮ কিমি/ঘণ্টা) বল করে লাইন-মিস করেন, সেখানে সাই কিশোর গতি ও লাইন দুই সামলে ব্যাটারদের বিভ্রান্ত করেন। তার বলের গতি ছিল ৮৩.৭০ থেকে ৯৭.৯০ কিমি/ঘণ্টার মধ্যে, গড় গতি ৮৮.৮৮। জিতেশকে আউট করতে তিনি একটু ধীর গতির ডেলিভারি দেন, যাতে বল ড্রিফট করে আর ব্যাটার মিসটাইম করেন। এরপর ক্রুনাল পান্ডিয়াকে আউট করেন ক্যারম বলে।
সাই কিশোর বলের ৬৮ শতাংশই রেখেছেন গুড লেন্থে (৪–৭ মিটার), যেখানে রশিদের সেই হার মাত্র ৪২ শতাংশ। এটা রশিদের সাম্প্রতিক সময়ে ছন্দ হারানোর বড় প্রমাণ।
২০২৩ সালের পর থেকে রশিদ কেবল পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলেই এসেছেন এই আসরে। কাঁধের ইনজুরির কারণে লম্বা সময় মাঠের বাইরে ছিলেন। গত দুই আইপিএল মিলিয়ে ১৫ ম্যাচে তার উইকেট মাত্র ১১টি। ইকোনমি ৮.৯২, যা তার নিজের মানদণ্ডেই খুব নিচে।
২০২৪ সাল থেকে তিনি বলের ২২.৮ শতাংশ ফুল লেন্থে ফেলছেন, যেখানে ব্যাটাররা রান নিচ্ছে ১৫.৫৭ করে ওভারে। অথচ আগে এসব ভুল হলেও শর্ট লেন্থে হত, যা তার গতি ও নিচু ট্রাজেক্টোরিতে বিপজ্জনক হতো ব্যাটারদের জন্য।
১০ বছরের ক্যারিয়ারে ৪৫০টির বেশি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন রশিদ। তবে ফর্মের এভাবে পড়ে যাওয়াটা এই প্রথম দেখছেন তিনি। এ চ্যালেঞ্জ রশিদ কীভাবে সামলান, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ঘটনাপ্রবাহ: আইপিএল- ২০২৫
আরও পড়ুন