বয়স ৪৫ পর্যন্ত খেলে যেতে চান অ্যান্ডারসন

এখনই তার বয়স ৪২। তবে ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা পেসার জেমস অ্যান্ডারসন দিব্যি খেলে যাচ্ছেন কাউন্টি ক্রিকেটে। এবার তিনি জানিয়েছেন, আরও দুই থেকে তিন বছর ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে খেলার ইচ্ছা রাখেন।

ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট শিকারি অ্যান্ডারসন গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। তবে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কাউন্টি ক্রিকেট খেলার জন্য তিনি ল্যাঙ্কাশায়ারের সঙ্গে চুক্তি করেছেন।

প্রাক-মৌসুম অনুশীলনে ডান পায়ের কাফ ইনজুরিতে পড়ায় এপ্রিলের প্রথম ধাপে ল্যাঙ্কাশায়ারের ম্যাচগুলোতে তিনি মাঠে নামতে পারবেন না। তবে ক্যারিয়ার ঠিক কতদিন টানতে পারবেন, তা নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা দিচ্ছেন না।

তিনি বলেন, ‘আমি এই বছরে ভালো খেলতে মনোযোগী থাকতে চাই। তবে আরও এক, দুই বা তিন বছর খেলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছি না। আমি মনে করি না, নিজেকে কোনো সীমাবদ্ধতার মধ্যে ফেলা উচিত।’

অ্যান্ডারসন আরও বলেন, সাবেক সতীর্থ গ্লেন চ্যাপেল ৪১ বছর পর্যন্ত কাউন্টি ক্রিকেট খেলেছেন। এমনকি ড্যারেন স্টিভেন্স ৪৬ বছর পর্যন্ত খেলে গেছেন। তাই তিনিও যতদিন সম্ভব খেলার চেষ্টা করবেন।

তিনি যোগ করেন, ‘চার দিনের ক্রিকেটে আমার শরীর যথেষ্ট ধকল নিতে পারে। আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি, তাই যতদিন সম্ভব দলের জন্য অবদান রাখতে চাই।’

ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম এবং অধিনায়ক বেন স্টোকস ভবিষ্যৎ বোলিং আক্রমণ গড়ার পরিকল্পনা করায় অ্যান্ডারসন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ান। গত জুলাইয়ে লর্ডসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে তিনি বিদায় ম্যাচ খেলেন।

তবে ইংল্যান্ডকে ভুল প্রমাণ করার কোনো ইচ্ছা তার নেই বলে জানান অ্যান্ডারসন। তিনি বলেন, ‘আমি খেলছি কারণ আমি খেলাটাকে ভালোবাসি। যখন দল জেতে, সেটাই খেলাধুলার সবচেয়ে আনন্দদায়ক দিক। যদি মনোযোগ সরে যায়, তাহলে খেলাটাও উপভোগ করা যায় না এবং পারফরম্যান্সও ভালো হয় না।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টের পর তিনি আর কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেননি। তবে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি নিয়েছেন এবং নেটে বলও করেছেন।