-67d629428bd39.jpg)
২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বিরাট কোহলি। সেটা অবশ্য হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। আর এই ফরম্যাট থেকে ইতোমধ্যেই বিদায় নিয়েছেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক।
তবে একটি বিশেষ শর্তে তিনি আবারও মাঠে নামতে পারেন। ভারত অলিম্পিকের ফাইনালে উঠলে চট করে দলে ঢুকে পদক জিতে বেরিয়ে পড়তে চান। তবে তার কথা যে নেহায়েত রসিকতা ছিল, তা তার সুরেই পরিষ্কার ছিল। কোহলির কথা, ‘আমি জানি না, হয়তো যদি আমরা সোনা জয়ের জন্য খেলি, তাহলে একটা ম্যাচ খেলতে পারি, পদক নিয়ে ফিরে আসবো।’
ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটার কোহলি গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর এই ফরম্যাট থেকে অবসর নেন। যদিও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে, বিশেষ করে আইপিএলে, তিনি এখনও দাপটের সঙ্গে খেলছেন। কিন্তু জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা নাকচ করেই দিলেন, ‘না, আমি সত্যিই মনে করি না (ফিরবো)। তবে অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হওয়া দারুণ অনুভূতি হবে, প্রথমবারের মতো এমন কিছু হলে সেটা অসাধারণ হবে।’
এক শতাব্দীরও বেশি সময় পর অলিম্পিকে ফিরছে ক্রিকেট। ১৯০০ সালের পর ২০২৮ সালে প্রথমবারের মতো অলিম্পিকের মঞ্চে দেখা যাবে এই খেলাকে। ছয় দলের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে প্রতিযোগিতা, যেখানে পুরুষ ও নারী উভয় বিভাগের খেলা থাকবে। কোহলি মনে করেন, বিশ্বব্যাপী টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর কারণে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়েছে যে, তা অলিম্পিকেও জায়গা করে নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যখন খবরটা শুনেছিলাম, তখন সত্যিই দারুণ লেগেছিল। এটা অনেক বড় ব্যাপার, কারণ বিশ্বজুড়ে এত বেশি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলা হচ্ছে, এত লিগ হচ্ছে, বিশেষ করে আইপিএল, যা এতে বিশাল ভূমিকা রেখেছে। এটা ক্রিকেটকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে, যেখানে এটা অলিম্পিকের অংশ হতে পেরেছে। এটি আমাদের ক্রীড়াবিদদের জন্য দারুণ একটি সুযোগ।’
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) জানিয়েছে, ক্রিকেটের বিশ্বব্যাপী প্রায় ২৫০ কোটি সমর্থক রয়েছে। নতুন প্রজন্মের দর্শকদের আকৃষ্ট করতেই অলিম্পিকে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কোহলিও মনে করেন, ভারতের নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্য এটি দারুণ এক সুযোগ।