
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের আবাহনী লিমিটেড আজ ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৮০ রানে হারিয়েছে। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মুমিনুল হকের ঝোড়ো ৯২ রানের ইনিংসে আবাহনী ৩১০ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে। জবাবে ব্রাদার্স ইউনিয়নের মন্থর ইনিংস শেষ হয়েছে ২৩০ রানে।
আবাহনীর ইনিংসের শুরুটা প্রত্যাশিতভাবে ভালো হয়নি। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান পারভেজ হোসেন ইমন মাত্র ৫ রান করে রান-আউট হয়ে ফিরলে দল চাপে পড়ে যায়। আরেক ওপেনার জিসান আলম ২৫ বলে ২৭ রান করলেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকেও আসে মাত্র ১২ রান। তবে মুমিনুল হক ও মোহাম্মদ মিঠুন এরপর ইনিংসকে দারুণভাবে সামাল দেন এবং বড় জুটি গড়ে দলের ভিত মজবুত করেন।
মুমিনুল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন এবং একসময় তার সেঞ্চুরির সম্ভাবনা দেখা গেলেও আইচ মোল্লার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। ৭৪ বলের এই ইনিংসে তিনি ৭টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৯২ রান করেন।
মিঠুন ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৮৬ বলে ৭১ রান করেন। এই দুই ব্যাটসম্যানের ১৪৩ রানের পার্টনারশিপ দলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে দেয়। এরপর মোসাদ্দেক হোসেন, মাহফুজুর রহমান রাব্বি এবং রাকিবুল হাসানের ছোট কিন্তু কার্যকর ইনিংসের ফলে আবাহনী ৩১০ রানের শক্তিশালী স্কোর দাঁড় করাতে সক্ষম হয়।
ব্রাদার্স ইউনিয়নের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ব্যাট করেছে মন্থর গতিতে। ওপেনিং জুটিতে ইমতিয়াজ হোসেন ও মাহফিজুল ইসলাম ২৯ রান যোগ করেন। ইমতিয়াজ ২০ রান করে মোসাদ্দেক হোসেনের বলে আউট হলে প্রথম ধাক্কা খায় দল। মাহফিজুলও বেশিক্ষণ টেকেননি, তিনি নাহিদ রানার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন। এরপর মিজানুর রহমান ও আইচ মোল্লা কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন, তবে আইচ ৪৯ বলে মাত্র ১৬ রান করেন, যা দলের ওপর চাপ বাড়িয়ে দেয়।
মিজানুর রহমান কিছুটা আক্রমণাত্মক খেললেও ৬৩ বলে ৪৫ রান করে ফিরে যান, ফলে ব্রাদার্সের রান তোলার গতি কমে যায়। এরপর দলের অধিনায়ক মাইশুকুর রহমান একাই দলকে জয়ের দিকে টানার চেষ্টা করেন। তিনি ৭৮ বলে ৮৪ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন। অন্যদের ব্যর্থতার কারণে তার চেষ্টা বৃথা যায়। অলোক কাপালি ৩৩ রান করলেও সেটি ম্যাচের ফলাফল পরিবর্তন করার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩০ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়, যা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। আবাহনী শেষমেশ ৮০ রানের জয় তুলে নেয়, তাতে লিগে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করে।