Logo
Logo
×

খেলা

শান্ত ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত অধিনায়ক থাকলেও অবাক হব না

শান্ত রিমন

শান্ত রিমন

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫২ পিএম

শান্ত ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত অধিনায়ক থাকলেও অবাক হব না

হান্নান সরকার। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ওপেনার। ক্রিকেটের সঙ্গে দীর্ঘ পথচলায় তিনি কাটিয়ে দিয়েছেন জীবনের ২২ বসন্ত। ক্রিকেটের পাঠ চুকিয়ে বিসিবিতে প্রায় দীর্ঘ ৯ বছর নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বয়সভিত্তিক নির্বাচক হিসাবে একটি বিশ্বকাপ এবং দুটি এশিয়া কাপ জয়ের কীর্তি আছে তার। যাকে বাংলাদেশের ক্রিকেটে এ যাবতকাল সেরা সাফল্য হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।

সেই তিনি গত বছরের মার্চে জাতীয় দলের নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব নিলেও পরে পদত্যাগ করে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আবাহনীর প্রধান কোচ হিসেবে কোচিং ক্যারিয়ারে ফেরেন। গতকাল তার একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে যুগান্তর অনলাইনে। আজ থাকছে সেই সাক্ষাৎকারের শেষ অংশ। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন— শান্ত রিমন ও আরকে রাডার

সাকিবকে দলে রাখা না রাখার বিষয়ে বোর্ড কখনো চাপ দেয়নি

যুগান্তর: বাংলাদেশের অনেক পরে ক্রিকেট শুরু করে পুরো বিশ্বেই এখন আফগানিস্তান এক ক্রিকেট পরাশক্তি। অথচ আমরা এখনো সেই অর্থে প্রভাব বিস্তার করতে পারিনি, এর কারণ কী?

হান্নান সরকার: আপনি আফগানিস্তানের কথা বললেন, আফগানিস্তানের নবি-রশিদ অনেক দিন ধরে খেলছে, কিন্তু নবি-রশিদ কয়টা ম্যাচ জিতিয়েছে। যারা জেতাচ্ছে তারা এই জেনারেশনের। যারা গত ৫-৭ বছর ধরে খেলছে। আমি ১৮-১৯-এর পরের কথা বলছি। অর্থাৎ এই জেনারেশন এই মোটিভেশন নিয়েই খেলা শুরু করেছে। আপনাকে এ ধরনের সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আর সেই সাহসী সিদ্ধান্ত যদি আপনি নেন, তাহলে আপনাকে তাদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। আর সেই ভরসা করার পেছনে তাকে কতটা রেডি করেছেন সেটা জড়িয়ে। কাজেই অনেক প্রক্রিয়া রয়েছে। আপনি সেভাবে যদি এগিয়ে যান, তাহলে এই জেনারেশনকে দিয়ে যে সাফল্য প্রত্যাশা করছেন, সেটি অর্জন করা সম্ভব।

যুগান্তর: আমরা যতটা না জয়ের জন্য খেলি, তার চেয়ে মান বাঁচাতে বেশি লড়াই করি। অথচ, প্রতিবারই আমরা বলি আমাদের টার্গেট নেক্সট ওয়ার্ল্ডকাপ, সেই নেক্সট ওয়ার্ল্ডকাপটা আসলে কবে?

হান্নান সরকার: আপনি ভালো ক্রিকেট খেলবেন, সম্মান নিয়ে খেলবেন, তাহলে আপনি সেই রেজাল্টটা পাবেন না। কারণ আপনাকে সাহসী হতে হবে। আফগানিস্তান যেটি করছে। তারা সাহস নিয়ে শট খেলছে, ফিল্ডিং ও বোলিংয়ে সেটি দেখাচ্ছে। কারণ নিচ থেকেই তাদের সেই ভিতটা গড়ে উঠেছে। আমি এ জন্যই বলছি— জাতীয় দলের রেজাল্টের আগে আপনি যদি বয়সভিত্তিক দলে কাজগুলো করেন, তাহলে আপনি রেজাল্ট পাবেন। 

১৯ পর্যন্ত আমরা খুব ভালো প্রসেস মেনে এগোচ্ছি, যে কারণে সাফল্য আসছে, কিন্তু এরপর আমাদের প্রসেস নিয়ে কাজ করতে হবে। সাফল্য পেতে হলে জাতীয় দলের আগের স্টেজগুলো নিয়ে আপনাকে কাজ করতেই হবে। 

আফগানিস্তানের বিষয় বিশ্ব ক্রিকেটেরই নজর কেড়েছে। তাদের স্ট্রাকচার সম্পর্কে আমরা কমবেশি জানি। জাতীয় দলের আগে তারা কতটা মনোযোগী, কাজেই আমাদেরও তার বিকল্প নেই। ক্রিকেটে উন্নতি করতে হলে আমাদের সেটি করতেই হবে, ভারত যেটি করেছে। রাহুল দ্রাবিড় যেভাবে একটা একাডেমি করে স্ট্রাকচার তৈরি করে সাফল্য এনে দিয়েছে। বাংলাদেশে এ ধরনের উদ্যোগ না নিলে আবারও দুই বছর পর বলতে হবে— নেক্সট ওয়ার্ল্ডকাপ। আর এ ব্যাপারে কিছু উদ্যোগ বোর্ড নেওয়া শুরু করেছে, সেটি আমি জানি।

যুগান্তর: দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা একে একে বিদায় নিচ্ছেন, তাদের জায়গায় আমরা এখনো তেমন কাউকে দেখছি না। কেন মাশরাফি-তামিম-সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিকল্প রেডি করা গেল না?

হান্নান সরকার: আমাদের এই মুহূর্তে মুশফিকের বিকল্প রেডি কিনা। কাকে রেডি করেছি। আপনি ফল চাচ্ছেন কিন্তু তার আগের স্টেপগুলো কি আমরা ঠিকভাবে পূরণ করেছি? আজকে মুশফিকের জায়গায় যে যাবে তাকে কি আমরা রেডি করেছি। ওই জায়গায় কাজ করতে হবে। আমি ন্যাশনাল টিম নিয়ে কাজ করার কথা বলছি না। ন্যাশনাল টিম লাস্ট স্টেজ, এখানে কাজ করার তেমন কিছু নেই। 

আমরা মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, তামিম, সাকিব এদের নিয়ে কথা বলি, কিন্তু তাদের দোষ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাদের জায়গায় যাদের আনবেন, তারা কি নিজেদের সেভাবে রেডি করেছে। তাদের নিয়ে কিন্তু এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছে। দিনশেষে আপনি— আমিই বলি তামিমই ভালো ছিল। মুশফিকের জায়গায় যে খেলল তখন আমরা বলি মুশফিকই ভালো ছিল।

যুগান্তর: ক্রিকেটারদের রেডি করার কথা বলছেন, সেটা কোথায় হবে? জাতীয় দলের কাছে তো সবাই রেজাল্ট প্রত্যাশা করে?

হান্নান সরকার: নিচের দিক থেকে যদি ক্রিকেটার রেডি না করেন, তাহলে আমাদের আলটিমেট রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব না। আমরা আমাদের অপশনগুলোই রেডি করতে পারেনি। যে কারণে এমনটি হয়েছে। সেটি হলেই ফল আসবে। আর তার সঙ্গে কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

কিছু কিছু জায়গায় আপনাকে এক্সপেরিমেন্ট করতে হবে। আমরা বড় টিম ছোট টিম প্রতিপক্ষ থেকে এক্সপেরিমেন্ট করতে পারি। এর মাধ্যমে কিছু কিছু ক্রিকেটারকে আমরা রেডি করতে পারি। দুই বছর আগে 'এ' টিমের অ্যাক্টিভিটিস না দেখার মতো ছিল। গত বছর থেকে 'এ' টিমের অ্যাক্টিভিটিস বেড়েছে। যেখানে অন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটারদের কম্পিটিশনটা হবে। ন্যাশনাল টিম আসলে কাজ করার জায়গা নয়। তার আগে কাজ করলে আমরা জাতীয় দলে সাফল্য পাব।

যুগান্তর: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগমুহূর্তে হাথুরু সিংকে সরিয়ে দেওয়া হলো। ফিল সিমন্সকে কোচ করা হলো। এই সিদ্ধান্তকে কীভাবে দেখেন?

হান্নান সরকার: সিমন্সের সঙ্গে দু-একটা মিটিং হয়েছে। হাথুরুর সঙ্গে অনেক দিন ছিলাম। এই সময়ের মধ্যে যা দেখেছি, সিমন্সের সঙ্গে আমাদের বেশ কিছু চিন্তা ভাবনায় মিল রয়েছে। তা ছাড়া ক্রিকেটারদের সঙ্গেও সিমন্সের সম্পর্ক বেশ ভালো। ন্যাশনাল টিমের সঙ্গে সালাহউদ্দিন ভাইকে যোগ করার পর তার সঙ্গেও বেশ ভালো সম্পর্ক আমি দেখেছি।

হাথুরুকে নিয়ে বেশ কিছু তর্কবিতর্ক ছিল। টিমের এনভায়রনমেন্টে যদি নেগেটিভ ব্যাপার থাকে, সেটিকে ক্যারি করা রিস্কি হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে বোর্ডের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করতেই হয়। কেননা, আপনি যখন বড় ইভেন্টে যাচ্ছেন, তখন এ ধরনের বিতর্কিত বিষয় না নিয়ে যাওয়াই ভালো। হাথুরুকে নিয়ে সেই সমাধানটাই টেনেছে ক্রিকেট বোর্ড।

যুগান্তর: যে উদ্দেশ্যে সিমন্সকে কোচ করা হলো তাতে কি সাফল্য এসেছে। সিমন্সের ভবিষ্যৎ কী দেখছেন?

হান্নান সরকার: সিমন্সকে খুব বেশি সময় হয়তো আমরা দিতে পারিনি। আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে খেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গেলাম। এই সময়ে সিমন্সকে দেখে যা মনে হয়েছে, তাতে তাকে নিয়ে লম্বা সময় চিন্তা করা যেতেই পারে। আমার মনে হয় বোর্ডও সেই চিন্তাই করছে। সে আসলে যে মানসিকতার, যে ভিশন নিয়ে সে এসেছে, তার সঙ্গে যদি আমরা ম্যাশআপ করতে পারি, তা হলে ভালো কিছু আসবে।

যুগান্তর: পঞ্চপাণ্ডবের সবারই ক্যারিয়ার প্রায় শেষ। দীর্ঘদিন নির্বাচকের ভূমিকায় যেহেতু ছিলেন; এদের ছাড়িয়ে যাবে এমন কাদের চোখে পড়েছে? 

হান্নান সরকার: আসলে রেকর্ড হয় রেকর্ড ভাঙার জন্য। শচীনের রেকর্ড অবশ্য বিরাট এখনও ভাঙেনি। তবে সে পথেই আছে বিরাট। বাংলাদেশেও যে তা হবে না তেমন না। তবে বিশ্বক্রিকেটে কিন্তু রেকর্ড ভাঙার টেন্ডেন্সি কমে গেছে। টি-টোয়েন্টি ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের কারণে এখন আর তেমন কেউ ১৫-২০ বছর খেলার চিন্তা করে না। যে কারণে পুরোনো রেকর্ডগুলো ভাঙার ক্ষেত্রে তেমন কাউকে দেখবেন না। বিরাট কিন্তু অনেক আগের প্লেয়ার যে কারণে অনেক রেকর্ড ভাঙতে পেরেছে। বিরাটের রেকর্ড কে ভাঙবে সেটি নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন আছে? 

আপনি হয়তো শুভমান গিল বা শ্রেয়াসের নাম বলতে পারেন। তবে তারা তা পারবে কিনা সেটি সময় বলে দেবে। 

বাংলাদেশেও এমন অনেক ক্রিকেটার আছে। তাদের রেকর্ড ভাঙতে পারবে কিনা জানি না। তবে তাদের জায়গা নিতে পারেন এমন অনেক ক্রিকেটার তৈরি হয়েছে। আমি বলব না, এখনই হয়ে গেছে। তবে তারা রেডি হচ্ছে। তাদের আরও কীভাবে প্রসেসের মধ্যে রেখে উন্নতি করা যায়, সেটি নিয়ে কাজ করতে হবে।

যুগান্তর: কারও নাম বলবেন যাদের মধ্যে সেই সম্ভাবনা দেখতে পান?

হান্নান সরকার: আমার কারও নাম ম্যানশন করা ঠিক হবে না। আমি যেহেতু ৮ বছর বয়সভিত্তিক দলের সিলেক্টর ছিলাম। ২০২০ বিশ্বকাপেরই ৭-৮ জন জাতীয় দলে খেলছে। আরও ২২, ১৬ ও ১৮ সালের প্লেয়াররা রয়েছে। আমি কারও নাম বলছি না। কিন্তু এদের মধ্যে প্রতিভা রয়েছে। আমাদের বড় স্বপ্ন বাস্তবায়নের সম্ভাবনা আমি তাদের মধ্যে দেখেছি। আমাদের বিশ্বমঞ্চে সাফল্য এনে দেওয়ার মতো প্রতিভা এদের বেশ কিছু ক্রিকেটারের মধ্যে রয়েছে। সেই সময়টা সামনে আসতে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি আমরা যার প্রত্যাশা করছি, সেই বৈশ্বিক শিরোপা এরা আমাদের এনে দেবে। সেটাকে সিলেক্টর হিসেবে আমাদের অ্যাচিভমেন্ট হিসেবেও চিন্তা করতে পারি।

যুগান্তর: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে চাইলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাকে অধিনায়ক করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিয়ে যাওয়া হলো, সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল কিনা?

হান্নান সরকার: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত শান্তর কিন্তু চুক্তি ছিল। ওয়ানডে অধিনায়কত্বের ক্ষেত্রে শান্তকে নিয়ে কোনো দ্বিধায় ছিল না। ওয়ানডেতে যদি আপনি সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দেখেন, তাহলে আপনি দেখবেন যে শান্তর চেয়ে বেস্ট ক্রিকেটার নেই। কাজেই তাকে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। কারণ সে বেস্ট পারফরমারের পাশাপাশি ক্যাপ্টেন্সিটাও ভালো করে। আর ক্যাপ্টেন্সির পাশাপাশি ব্যাটিংটা যদি ঠিক থাকে, তাহলে তো আর কোনো প্রশ্নই থাকে না। কাজেই শান্তর নেতৃত্ব নিয়ে কোনো সংশয় ছিল না।

যুগান্তর: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষ। এখন অধিনায়ক নামজুল শান্তর ভবিষ্যৎ কী দেখছেন আপনি?

হান্নান সরকার: তার চুক্তিটা ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। এখন কিন্তু ওপেন ফ্লোর। ক্রিকেট বোর্ড যে চিন্তা করবে, সেটি নিশ্চিতভাবেই ভেবেচিন্তে করবে; লম্বা সময়ের জন্য করবে। উদাহরণ হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে যাকেই অধিনায়ক করা হবে, তাকে ২০২৬ বিশ্বকাপের চিন্তা করেই করা হবে। একইভাবে ওয়ানডেতে যাকে অধিনায়ক করা হবে, আমি অবাক হব না যদি শান্তই অধিনায়কত্ব করে। সে ক্ষেত্রে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত সে অধিনায়ক থাকবে। টেস্টে যাকে করবে সেও লম্বা সময়ের জন্য পাবে।

যুগান্তর: তিন ফরম্যাটে আলাদা আলাদা অধিনায়ক নাকি ভিন্ন কিছু দেখা যাবে?

হান্নান সরকার: তিন ফরম্যাটে তিনজনকে অধিনায়কত্ব দেবে নাকি দুজনকে দেবে, এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। আমাকে বললে বলব— তিন ফরম্যাটে দুজন অধিনায়ক দিলে খুব বেশি ক্ষতি হবে না। আমার মনে হয়, টি-টোয়েন্টির বিষয়টি একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করা যেতে পারে। ওয়ানডে ও টেস্টের মধ্যে কিছুটা মিল আছে। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে ভিন্নভাবে চিন্তা করে ভিন্নভাবে এগোনো উচিত।

কারণ বিশ্ব ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টির যেভাবে হচ্ছে, যেমন নেপাল, ইউএই থেকে শুরু করে অনেকেই টি-টোয়েন্টিকে প্রাধান্য দিয়ে ক্রিকেটটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তারা কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট খেলবে না। তাদের সেই লক্ষ্যও নেই। ওয়ানডে নিয়েও তারা মাথা ঘামায় না। তাদের একমাত্র মনোযোগ টি-টোয়েন্টিতে। আমাদের যদি টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে হয়, বিশ্ব ক্রিকেটে টিকে থাকতে হয়, তাহলে কিন্তু ভিন্নভাবে চিন্তা করতেই হবে। কারণ আমরা ৩টা ফরম্যাট খেলি। আর এখানে তিনটা ফরম্যাটকেই সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হয়। কিন্তু ওই দলগুলো একটা ফরম্যাটেই ক্রিকেট খেলে। তাদের ফুল ডেডিকেশন কিন্তু একটা ফরম্যাটে। তারা কিন্তু শক্তিশালীভাবে এগিয়ে আসবে। কাজেই আমাদেরও টি-টোয়েন্টি টিমটাকে নিয়ে আলাদাভাবে চিন্তা করে এই ফরম্যাট নিয়ে ভিন্নভাবে এগিয়ে নেওয়া উচিত। 

এটা আমার ভাবনা, আমার মনে হয় বোর্ড এতে সম্মত হবে। এ ক্ষেত্রে অধিনায়কের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হবে না। আমার মনে হয় এখন যেহেতু ২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে, সেহেতু সেটা মাথায় রেখে নেতৃত্ব নিয়ে চিন্তা করতে পারে। কাজেই আমার মনে হয় দুই বা তিনজন যাদেরই অধিনায়ক করা হোক না কেন, লম্বা সময় নিয়ে চিন্তা করলে বোর্ডের জন্য ভালো।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম