Logo
Logo
×

খেলা

সাকিবকে দলে রাখা না রাখার বিষয়ে বোর্ড কখনো চাপ দেয়নি

শান্ত রিমন

শান্ত রিমন

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৭ পিএম

সাকিবকে দলে রাখা না রাখার বিষয়ে বোর্ড কখনো চাপ দেয়নি

হান্নান সরকার। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ওপেনার। ক্রিকেটের সঙ্গে দীর্ঘ পথচলায় তিনি কাটিয়ে দিয়েছেন জীবনের ২২ বসন্ত। ২০০২ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা এই ক্রিকেটার জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ খেলেছেন ২০০৪ সালে। মাঝের সময়টাতে ১৭ টেস্ট ও ২২টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন তিনি। পরবর্তী সময়ে কোনো এক অজানা কারণেই আর জাতীয় দলে ফেরা হয়নি তার। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটটা নিয়মিতই খেলে গেছেন ২০১১ সাল পর্যন্ত।

ক্রিকেটকে ভালোবেসে এরপর ক্রিকেটের সঙ্গেই থেকে গেছেন তিনি। দেশের ক্রিকেটের মান উন্নয়নে কাজ করতে বেছে নিয়েছেন কোচিং ক্যারিয়ার। ২০১০–১১ সালে বিসিবির লেভেল ১ ও ২ কোর্স সম্পন্ন করে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএল ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কোচিং করিয়েছেন সাবেক এ ওপেনার। সেখানে তার সাফল্য দেখে বিসিবি তাকে বয়সভিত্তিক অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব দেয়। 

সব মিলিয়ে বিসিবিতে প্রায় ৯ বছর নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বয়সভিত্তিক নির্বাচক হিসাবে একটি বিশ্বকাপ এবং দুটি এশিয়া কাপ জয়ের কীর্তি আছে তার। যাকে বাংলাদেশের ক্রিকেটে এ যাবতকাল সেরা সাফল্য হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। সেই তিনি গত বছরের মার্চে জাতীয় দলের নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব নিলেও পরে পদত্যাগ করে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আবাহনীর প্রধান কোচ হিসেবে ফের কোচিং ক্যারিয়ারে ফেরেন।

নির্বাচক থাকাকালে তার সফলতা-ব্যর্থতা— অবশেষে পদত্যাগ। সাকিব আল হাসানকে নিয়ে তার আক্ষেপ, সিনিয়র ক্রিকেটারদের রিপ্লেসমেন্ট ও বড় ইভেন্টে ভালো করতে না পারার কারণ। কোচ হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও কোচ ফিল সিমন্সের ভবিষ্যৎসহ নানা বিষয়ে যুগান্তর অনলাইনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় বিস্তারিত কথা বলেছেন হান্নান সরকার। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন— শান্ত রিমন ও আরকে রাডার


যুগান্তর: কেমন আছেন?

হান্নান সরকার: এই তো ভালোই আছি...

যুগান্তর: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি; জাতীয় দলে আপনার শেষ অ্যাসাইনমেন্ট। কেমন করল আপনার ঘোষিত দল?

হান্নান সরকার: খুব যে ভালো হয়েছে, সেটা বলার সুযোগ নেই। অবশ্য একটা ম্যাচ হয়নি পাকিস্তানের বিপক্ষে। আসলে ম্যাচে হারজিত আছেই। কিন্তু হারের ওয়ে যেভাবে ছিল, যতটা প্রত্যাশিত ছিল, সেটি হয়নি। সেই জায়গা থেকে বলতেই হবে— চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খুব একটা ভালো করেনি আমাদের দল।

তবে ন্যাশনাল সিলেক্টর হিসেবে আমার শেষ অ্যাসাইনমেন্ট যেটা ছিল, সেই কাজটা আমরা ঠিকভাবে করেছি বলেই মনে হয়। অপশন ও বেস্ট কম্বিনেশনের জায়গা থেকে চিন্তা করে আমরা যে দল দিয়েছিলাম, সেটি বেস্ট করার চেষ্টা করেছি। দিনশেষে রেজাল্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বিষয় জড়িত থাকে। আমরা হয়তো সেই রেজাল্ট পাইনি। তবে সিলেক্টর হিসাবে যেভাবে টিম গড়ার দরকার ছিল, সেটি করতে পেরেছি।

যুগান্তর: সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আপনার মুখ থেকে আক্ষেপ শোনা গেছে সেটা কি নিয়ে?

হান্নান সরকার: সাকিবের বিদায়টা মিরপুর থেকে হলে ভালো হতো। সেটার জন্য আমি আক্ষেপ করেছি। এখানে তাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে রাখা না রাখার বিষয় নিয়ে আমি কিছু বলিনি। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে খেলে সাকিবের অবসরে যাওয়ার যে বিষয়টি ছিল, সেই দলটি আমি ঘোষণা করেছিলাম। সাকিবের বিষয়টি আমিই মিডিয়ার কাছে জানিয়েছিলাম। কাজেই স্বাভাবিকভাবেই আমার একটা প্রত্যাশা ছিল— মিরপুর থেকে সে বিদায় নেবে। কিন্তু সেই প্রত্যাশা যখন পূরণ হয়নি, তখন আমি সেটি নিয়ে আমার আক্ষেপ জানিয়েছে। গত এক বছর আমি সিলেক্টর হিসেবে থাকাবস্থায় সেটি একটি অপূর্ণতা বলা যেতে পারে।

যুগান্তর: সাকিবকে দলে না রাখার ব্যাপারে বোর্ড থেকে কোনো চাপ ছিল কিনা?

হান্নান সরকার: সাকিবকে রাখা না রাখা নিয়ে কোনো প্রেশার বা বোর্ডের কাছ থেকে কোনো সিচুয়েশন তৈরি নিয়ে যেটি বললেন, আসলে টিম সিলেকশনের যে প্রক্রিয়াটা, একটা প্লেয়ারকে যখন আমরা সিলেক্ট করি, তখন ক্রিকেট অপারেশন্স ডিপার্টমেন্ট থেকে আমরা ক্রিকেটারদের প্রাপ্যতা সম্পর্কে জেনে নিই। কে অ্যাভেইলেবল আছে। 

ফিটনেস ও আরও অনেক বিষয় থাকে এখানে। সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে অ্যাভেইলেবল ছিল বলেই তাকে আমরা রেখেছিলাম। পরে আপনারা দেখেছেন, দেশে কেমন সিচুয়েশন হলো, যে কারণে বাধ্য হয়েই সাকিবকে নিয়ে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বোর্ডকে। 

সাকিবের থাকা না থাকা— এ ব্যাপারে বোর্ড আমাদের কখনো কোনো চাপ দেয়নি। বোর্ডের যে দায়িত্ব সেটি হলো অ্যাভেইলবিলিটি নিশ্চিত করা। সেই কাজটা উনারা করেছেন, আর আমরা সে অনুযায়ী দল গড়েছি। বোর্ড এ ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপ করেনি।

যুগান্তর: বাংলাদেশে পদত্যাগের সংস্কৃতি নেই বললেই চলে। হঠাৎ পদত্যাগ করে কোচিংয়ে ফিরতে হলো কেন?

হান্নান সরকার: আমি ২০১১ সালে যখন খেলা ছেড়ে দিই তারপর আমি কোচিংয়েই ছিলাম। ২০১১-তে আমি লেভেল ১ ও ২ দুটোই করেছি। তারপর কোচিংয়ে ছিলাম। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তিন বছর কোচিং করিয়েছি। প্রথম বিপিএল থেকে সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করেছি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করেছি। চার বছর কোচিং করিয়ে আমি সিলেক্টর হিসেবে এসেছিলাম। সেটি আসলে বিভিন্ন কারণেই আমি করেছিলাম।

এখন দীর্ঘ ৯ বছর কাটানোর পর আমার আসলে মনে হয়েছে যে কোচিংটাই আমার জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা। এখানে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য আমি ভালো কিছু করতে পারব। আমি সিলেক্টর হিসেবেও সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আর এখন মনে হচ্ছে, কোচিংয়ে থেকে আরও বেশি দেওয়ার সুযোগ আমার রয়েছে। আর আমি এতদিন যাদের সঙ্গে কাজ করেছি, তারাও আসলে আমাকে বিভিন্ন সময় কোচিংয়ে আসার জন্য অনুপ্রেরণা দিয়েছে। বলেছে যে, ‘স্যার আপনি কোচিংয়ে চলে আসেন। কোচিং এলে আপনার সঙ্গে সরাসরি কাজ করার সুযোগ থাকবে, আর আমাদের জন্যও ভালো হবে।’ তারা আমাকে এই মোটিভেশনটা দিয়েছে যে স্যার আপনি কোচিংয়ে এলে ভালো হবে।

যুগান্তর: জাতীয় দলের এত সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও কেন পদত্যাগ করলেন, এমনটা তো খুব একটা দেখা যায় না। নাকি বর্তমান বোর্ডের সঙ্গে কোনো বিষয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল, যে কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন?

হান্নান সরকার: বোর্ডের সঙ্গে ১% দূরত্বও আমার ছিল না। বোর্ডের সঙ্গে যখন আমি এ নিয়ে কথা বলেছি, তখন তারা এটাকে আমার স্বাধীনতা হিসেবে দেখেছে। দেখেছে আমি কীভাবে চিন্তা করি। সে জায়গা থেকে উনারা আমাকে পুরো স্বাধীনতা দিয়েছেন— ‘তুমি যদি কোচিং করাতে চাও, সেটি তোমার সিদ্ধান্ত, আর তুমি যদি চাও তাহলে সিলেক্টর হিসেবেও থাকতে পার, যেহেতু তোমার এখনো এক বছর চুক্তি রয়েছে। তোমার রেপুটেশনও ভালো। তুমি খুব ভালো করছ। আমরা চাই তুমি সিলেকশনে থাক, তবে তোমার যদি আলাদা প্ল্যান থাকে, তাহলে আমাদের তো কিছু বলার নেই।’

সে জায়গা থেকে আমি কোচিংকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছি। সবশেষ আমার যেটি মনে হয়েছে— ক্যারিয়ার। আমি মনে করি না সিলেক্টর হিসেবে আমার লম্বা ক্যারিয়ার হতে পারে। একজন ন্যাশনাল সিলেক্টরকে ৩-৪ বছরের বেশি থাকার চিন্তাও করা উচিত না আমাদের জায়গা থেকে। এক বছর পর হয়তো আবারও নতুন করে এখানে থাকার সুযোগ ছিল। কিন্তু চার-পাঁচ বছর পর আলটিমেটলি কোচিং ছাড়া ক্রিকেটের সঙ্গে থাকার খুব বেশি অপশন হয়তো থাকবে না। চার বছর পর যেটি করতে হবে, তা এখনই আমার কাছে মনে হয়েছে ঠিক সময় কোচিংয়ে আসার। 

কোচিংয়ে আসার পেছনে আরেকটি কারণ— বর্তমান বোর্ড আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে, আত্মবিশ্বাস পেয়েছি আমি। বাংলাদেশি কোচদের প্রতি তাদের একটা পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি দেখা যাচ্ছে। সব কিছু মিলিয়েই আসলে এ সিদ্ধান্তটি নেওয়া।

যুগান্তর: দীর্ঘ সময় বয়সভিত্তিক দলের নির্বাচক ছিলেন। সেখানে আমাদের দল বেশ ভালো করেছে। অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে আমরা বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপও জিতেছি। কিন্তু জাতীয় দলে এলে এই ক্রিকেটাররাই পরবর্তী সময়ে নিজেদের হারিয়ে ফেলেন। এর কারণ কী?

হান্নান সরকার: ৯ বছরের জার্নিতে আমার খুব কাছ থেকে ক্রিকেটারদের দেখার সুযোগ হয়েছে। অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যন্ত আমরা একটা ভালো রেজাল্ট করি। আমরা এখানে বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ জিতেছি। এর বাইরেও আমাদের কিছু ক্রিকেটার বের হয়েছে, যারা ন্যাশনাল টিমে এসেছে। আমি যখন অনূর্ধ্ব-১৯ খেলি, সেই '৯০ থেকে এখন ২৪ পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি দল থেকেই ২, ৪ বা ৭, ৮ জনও জাতীয় দলে এসেছে। অর্থাৎ এটা জাতীয় দলে আসার একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার মাঝে বড় যেই গ্যাপটা, সেটি হলো অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে জাতীয় দলে আসার পথে মাঝখানের গ্যাপ। এই মাঝের সময়টাতে আমরা ক্রিকেটারদের কতটা উন্নতি করেছি, কতটা আন্তর্জাতিক মানের জন্য প্রস্তুত করেছি কিংবা তারা কতটুকু প্রস্তুত হয়েছেন—এই জায়গাটায় সবচেয়ে বড় গ্যাপ তৈরি হয়েছে।

যুগান্তর: আপনি অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে জাতীয় দলে আসার পথে মাঝের সময়টাতে গ্যাপের কথা বলছেন; সেই গ্যাপটা আসলে কেমন, আর এই গ্যাপটা কীভাবে দূর করে সাফল্য পেতে পারি আমরা?

হান্নান সরকার: আমার মনে হয়, মাঝের জায়গাটায় যদি আমরা উন্নতি না করি, তা হলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমাদের একইভাবে হামাগুঁড়ি দিয়েই চলতে হবে। অনূর্ধ্ব-১৯ এর পরের যে ধাপ— আমার কাছে মনে হয়, এইচপি একটা ভালো জায়গা হতে পারে। আমি আমার জায়গা থেকে বোর্ডকে বিষয়টি জানিয়েছে— আরেকটি বিভাগ করা। এর পাশাপাশি টাইগার, 'এ' দল ও এইচপি তো রয়েছেই। এই জায়গাগুলোতে আরও নির্দিষ্ট ও গুণগত কাজ করতে হবে ক্রিকেটারদের উন্নতির ক্ষেত্রে, ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তুলতে। সেটি যদি হয় তা হলে আমি নিশ্চিত অনূর্ধ্ব-১৯ এর পর জাতীয় দলে গিয়ে ব্যর্থতার যে হার সেটি অনেকাংশে কমে যাবে। আসলে সাফল্য পেতে এই জায়গায় আমাদের কাজ করতেই হবে। 

অনূর্ধ্ব-১৯ দলে বয়সের একটা ব্যাপার থাকে। যখন এই ধাপ সে পেরিয়ে যায়, তখন ১৯ আর ৩৮ বছরের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। তখন জাতীয় দলে তারা সমমানের ক্রিকেট খেলে। কাজেই দুই-তিন বছর সময় লাগিয়ে তাদের প্রস্তুত করতে হবে এখানে। আর এই প্রস্তুতির জায়গাটাই হলো অনূর্ধ্ব-১৯ এর পর। সে জায়গায় অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

সত্যি বলতে, আমার কোচিংয়ে আসার পেছনে এটিও একটি বড় কারণ। আমি এই জায়গাটায় কাজ করতে খুবই আগ্রহী। আমি বোর্ডকেও জানিয়েছে বিষয়টি। আমি এইচপিতে কাজ করার জন্য নিজেকে যোগ্য মনে করি। বাকিটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত, উনারা চিন্তা করবেন, বিচার করবেন। কিন্তু এই জায়গায় ভালো কাজ করার সুযোগ আছে প্লেয়ারদের উন্নতি করার ক্ষেত্রে। আমি আমার ৯ বছরে এটাই উপলব্ধি করতে পেরেছি যে, এখানে কাজ করলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ সাফল্য পাবে।

যুগান্তর: বিশ্বকাপ যায় আর আমরা ব্যর্থ হই। এরপর আমাদের লক্ষ্য হয় নেক্সট ওয়ার্ল্ডকাপ। এভাবে কতদিন নেক্সট ওয়ার্ল্ডকাপ বলে কাটিয়ে দেব আমরা। আগামী বিশ্বকাপেই সাফল্য পেতে ইমেডিয়েট কি করতে পারি আমরা?

হান্নান সরকার: আমাদের ইমেডিয়েট কিছু স্টেপ নিতে হবে সাফল্য পেতে, কিন্তু ইমেডিয়েট রেজাল্ট আশা করা যাবে না। অর্থাৎ আপনি সাফল্যের জন্য যে ইমেডিয়েট স্টেপগুলো নেবেন, সেগুলোর লক্ষ্য থাকবে লম্বা। আমরা স্বল্পমেয়াদি সমাধানের দিকে এগোচ্ছি, যে কারণে মূলত ফল আসছে না। আপনাকে লং টার্মে যেতে হবে। 

আপনি যেটা বললেন, সবসময় আমরা বলি— নেক্সট ওয়ার্ল্ডকাপ। আসলে এটা বলা ছাড়া আমাদের উপায় নেই। এখানে বড় যে বিষয়টি, সেটি হলো— ক্রিকেটারদের সাহস। এই জেনারেশনের সেই সাহসটাকে আপনাকে কাজে লাগাতে হবে। কারণ ক্রিকেট এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ১০ বছর আগে যেখানে ছিল সেখানে নেই। ২০১৮-১৯ এর পর থেকে বিশ্ব ক্রিকেটে যে পরিবর্তন, সেটা বিশ্লেষণ করলেই পেয়ে যাবেন। তখন ৩০০ রানের খেলা হতো, আর এখন সাড়ে তিনশ রানের খেলা হয়। জেনারেশনের একটা তারতম্য তৈরি হয়েছে। আমাদের এখন যেই জেনারেশন তাদের মধ্যে সেই সাহস রয়েছে।

সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্ব দেখতে চোখ রাখুন আগামীকাল...

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম