
ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা ২০৩০ বিশ্বকাপকে আরও বড় পরিসরে আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। চারটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, এই আসরে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা এককালীনভাবে ৬৪-তে বাড়ানোর আলোচনা চলছে, যা বিশ্বকাপের শতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বিষয়টিতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। যদিও ২০৩০ বিশ্বকাপ ইতোমধ্যেই বেশ জটিল হতে চলেছে, কারণ এটি প্রথমবারের মতো তিনটি মহাদেশ জুড়ে অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিশ্বকাপের বর্ধিত সংস্করণ নিয়ে বিতর্কের সম্ভাবনা প্রবল।
ইনফান্তিনো ইতোমধ্যেই ২০২৬ বিশ্বকাপের দলসংখ্যা ৩২ থেকে ৪৮-এ বাড়িয়েছেন। এবার ২০৩০ বিশ্বকাপে ৬৪ দল রাখার প্রস্তাব উঠে আসে একটি বৈঠকে, যেখানে উরুগুয়ের প্রতিনিধি ইগনাসিও আলোনসো লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। বৈঠকে উপস্থিতরা এই প্রস্তাব শুনে কিছুটা বিস্মিত হন।
ইনফান্তিনো প্রস্তাবটি নিয়ে বলেন, ‘এটি একটি আকর্ষণীয় ধারণা, যা আরও বিশদভাবে বিশ্লেষণ করা উচিত।’ তবে অতীত অভিজ্ঞতা বলে, বিশ্বকাপের ফরম্যাট পরিবর্তন সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্তে কেবল ক্রীড়া-সংশ্লিষ্ট বিষয়ই নয়, বরং রাজনৈতিক ও আর্থিক দিকগুলোও বড় ভূমিকা রাখবে।
বিশ্বকাপ সম্প্রসারণের ফলে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। ইতোমধ্যেই ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য ১০ দলের মধ্যে সাতটি সরাসরি বাছাইপর্ব পেরিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে অংশ নিতে পারে। ৬৪ দলের বিশ্বকাপ হলে অনেক অঞ্চলের বাছাইপর্ব কার্যত গুরুত্বহীন হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া সময় ও লজিস্টিকস সম্পর্কিত সমস্যাও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বিশ্বকাপের মূল পর্বে ম্যাচ সংখ্যা ২০২৬ সালে ১০৪টি হচ্ছে, যা আরও বাড়তে পারে। ফিফার অতীত সিদ্ধান্তগুলোতে ইউরোপের ফুটবল কর্তৃপক্ষ বিশেষভাবে আপত্তি জানিয়েছে, যেমন বিশ্বকাপকে চার বছর পরপরের পরিবর্তে প্রতি দুই বছর পর আয়োজনের প্রস্তাবও পরে বাতিল করতে হয়েছিল।