
মুক্তার আলী
জুবায়ের হোসেনের সামনে মুক্তার আলীর চূড়ান্ত অসহায় চেহারাটা ভেসে উঠল। প্রথমে অফ স্টাম্পের বাইরের বল লং অন দিয়ে ছক্কায় ওড়ালেন জুবায়ের। বোলার মুক্তার আলী অ্যাঙ্গেল বদলে বল ছুঁড়লেন। তাতে থোড়াই লাভ হলো। কারণ পরের দুই বলের গন্তব্যও যে সীমানার ওপারে। ওভার দ্য উইকেটে ফিরে এক বল পর আবার লং অন দিয়ে ছক্কা হজম করলেন মুক্তার।
চার ছক্কায় মুক্তারের ওই ওভার থেকে এলো ২৭ রান। তবু যেন এই ওভার শেষে একটু স্বস্তি পেলেন মুক্তার! কারণ ইনিংস শেষ হয়ে যাওয়ায় তাকে আর বোলিং করতে হয়নি। বল করলে অনাকাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরিটা হয়েই যেত। কারণ ম্যাচে ৯ ওভার বল করে যে ৯৯ রান খরচ করেছেন তিনি!
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ও দেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট ইতিহাসে এটি অন্যতম খরুচে বোলিংয়ের কীর্তি। বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে মঙ্গলবার শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে বিব্রতকর এই অভিজ্ঞতা হয় পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের ৩৫ বছর বয়সী পেসারের।
প্রিমিয়ার লিগের ‘লিস্ট এ’ যুগে এর চেয়ে খরুচে বোলিংয়ের নজির আছে আর মাত্র একটি। গত বছর স্বীকৃত ক্রিকেটে নিজের প্রথম ম্যাচে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ৯ ওভারে ১০৪ রান খরচ করে ২ উইকেট নিয়েছিলেন গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির হয়ে খেলতে নামা ইকবাল হোসেন।
লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ম্যাচে একশর বেশি রান দেওয়া বোলার আছেন আর একজন। ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা 'এ' দলের বিপক্ষে ১০ ওভারে ১০৪ রান খরচ করেছিলেন শাহাদাত হোসেন। কোনো উইকেট পাননি তিনি।