
ছবি: সংগৃহীত
আন্ড্রি রবের্তসন রাখঢাক না রেখেই বললেন, ‘সবাই ভয় পেয়ে গেছিলাম। খেলোয়াড়দের মতো দর্শকরাও—নার্ভাস হওয়ার কথাই ছিল।’ উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে লিভারপুল যে জিতবে, তা একটা সময় পর ভাবতেও যেন কষ্ট হচ্ছিল। তবে ফল আসল উল্টো।
লিভারপুলের খেলোয়াড় থেকে স্টাফ হয়ে দর্শক-সমর্থকরা সবাই হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। ২০০৩-০৪ মৌসুমের পর এবাইর প্রথমবার যে অ্যানফিল্ডে লিভারপুল এমন করে ধুঁকেছে, গোলশূন্য থেকেছে।
ম্যাচের ১৫ মিনিটেই লুইস দিয়াজের গোলে লিড নেন অলরেডরা। এরপর ২৮ মিনিটে উলভস গোলরক্ষক হোসে ফাউল করলে পেনাল্টির সুযোগ পায় লিভারপুল। মোহাম্মদ সালাহ স্পট-কিক থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এরপর থেকেই স্বাগতিকদের দৈন্যতা।
প্রথমার্ধে দাপট দেখালেও দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুল কিছুটা অগোছালো হয়ে পড়ে। ম্যাচের শেষ দিকে উলভসের মাতেউস কুনহার এক দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। যা লিভারপুলের চাপ বাড়ায়। যদিও শেষ পর্যন্ত লিড ধরে রাখতে সক্ষম হয় লিভারপুল, যা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক জয়।
সর্বশেষ তিন ম্যাচে প্রথমবারের মতো জয় পেল লিভারপুল। যেখানে তারা এফএ কাপে প্লাইমাউথের বিপক্ষে বিদায় নিয়েছিল। পরে মার্সিসাইড ডার্বিদে এভারটনের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে ড্র করেছিল। এবার ধুঁকতে ধুঁকতে জেতা। প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার দৌড়ে থাকা দলটির এমন অবস্থায়ও খুশি দলটির কোচ আর্নে স্লট, ‘আমাদের ভিন্ন মানসিকতা দেখানোর প্রয়োজন ছিল। যা আমরা করেছি। দারুণভাবেই করেছি।’
বিবিসিকে স্লট আরও বলেন, ‘এমন একটি মৌসুমে আমরা দুর্দান্ত কিছু ম্যাচ খেলেছি। কিন্তু এমন সিজনেও যদি কিছু জিততে চাও, তখন যদি সেরাটা নাও খেলো তবুও এমন কঠিন ম্যাচ জিততে হবে।’
লিভারপুল এই জয়ে কিছু জেতা তথা প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার পথে অনেকটা এগিয়ে গেছে। মোহাম্মদ সালাহদের দল এখন লিগের শীর্ষে, তাও ৭ পয়েন্ট এগিয়ে। ২৫ ম্যাচে লিভারপুলের পয়েন্ট ৬০। তালিকায় দুইয়ে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৫৩। তিনে আছে নটিংহ্যাম ফরেস্ট।