চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে বাদ পড়েও আফসোস নেই শরিফুলের
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫২ এএম
ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেস বিভাগের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছিলেন শরিফুল ইসলাম। ২০২৩ সালে তো বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে তিনিই ছিলেন সেরা। সেই তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে চোটে পড়েন। এরপর চোট কাটিয়ে ফিরলেও পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেননি। ফল আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে জায়গা হারিয়েছেন তিনি। তবে দল থেকে বাদ পড়লেও আফসোস নেই তার।
বর্তমানে বিপিএলটাকেই ফেরার মঞ্চ হিসেবে ধরে নিয়েছেন শরিফুল। তবে এখানেও সেই অর্থে পারফর্ম করতে পারছিলেন না। অবশেষে বৃহস্পতিবার সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে দেখালেন বোলিং ঝলক। চিটাগাং কিংসকে প্লে-অফে তোলার ম্যাচে ৩.২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৫ রান খরচায় তার শিকার ৪ উইকেট।
এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর শরিফুলের কি আক্ষেপ হয়; এমন বোলিং কদিন আগে করতে পারলে তিনিও চড়তে পারতেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বিমানে। যা নিয়ে শরিফুলের উত্তর, ‘জানি না, আফসোস নাই। আল্লাহ হয়ত ভালো কিছুই লিখে রাখছেন কপালে ইনশাআল্লাহ। খারাপ লাগছে না। আলহামদুলিল্লাহ অনেক খুশি। আল্লাহ যেটা কপালে রাখছেন সেটাই হবে। আল্লাহর ওপর ভরসা আছে।’
বছরের ব্যবধানে চূড়ায় থেকে একেবারে দল থেকেই বাদ পড়া। নিজেকে কীভাবে স্থির রাখেন শরিফুল। যার উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি অবশ্যই সবসময় একটা চিন্তা করি- সবার জীবনে ভালো এবং খারাপ সময় আছে, আসবে। আমি দুইটা সময় উপভোগ করতে চাই। খারাপ সময় আসছে, ভেঙে পড়লে হয়ত আরও বেশি আসবে। আমি মেনে নিতে চাই।’
শরিফুলের বোলিংয়ের শক্তির জায়গা ইনসুইং। তবে গেল কিছুদিন ধরে সেই কাজটাই করতে পারছিলেন না তিনি। তবে এখন আবার ইনসুইং করতে পারছেন। যা নিয়ে তিনি বলেন, ‘শুরুতে হচ্ছিল না আমি কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। পরে কোচ আমার সাথে ইতিবাচকভাবে মিটিং করে। আমার উপর বিশ্বাস রাখে। সাথে নাসুম ভাইও। বলে যে যত ম্যাচ খেলবা তত ছন্দ আসবে। অইটা নিয়েই কাজ করছিলাম। বেশি বেশি নতুন বলে বল করছিলাম। এখন আলহামদুলিল্লাহ চলে আসছে।’
কোথায় সমস্যা হচ্ছিল শরিফুলের। সেটা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে ইনজুরির পর থেকে এফোর্টটা একটু কম হচ্ছিল। বডিটা একটু আগে পড়ে যাচ্ছিল। সেটা নিয়েই (কাজ করেছি) প্র্যাকটিসে।’