Logo
Logo
×

খেলা

বিপিএলে সন্দেহের তালিকায় ৪টি ফ্র্যাঞ্চাইজি

Icon

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:২৫ এএম

বিপিএলে সন্দেহের তালিকায় ৪টি ফ্র্যাঞ্চাইজি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়েই যাচ্ছে। স্পট ফিক্সিংয়ের গুঞ্জন আগে থেকে থাকলেও এবার তদন্তে নেমেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট (আকু)। তাদের সন্দেহের তালিকায় আছে আটটি ম্যাচ। এখানেই শেষ নয়, তালিকায় আছেন ১০ ক্রিকেটার ও ৪টি ফ্র্যাঞ্চাইজি। 

এই ১০ ক্রিকেটারের মধ্যে ৮ জন আবার বাংলাদেশি, যাদের ৬ জন খেলেছেন জাতীয় দলেও। আর চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে রাখা হয়েছে সন্দেহের তালিকায়— দুর্বার রাজশাহী, ঢাকা ক্যাপিটালস, সিলেট স্ট্রাইকার্স ও চিটাগং কিংস।

আকুর সন্দেহের তালিকায় থাকা ৮টি ম্যাচ হলো— ফরচুন বরিশাল-রাজশাহী (৬ জানুয়ারি), রংপুর রাইডার্স-ঢাকা (৭ জানুয়ারি), ঢাকা-সিলেট (১০ জানুয়ারি), রাজশাহী-ঢাকা (১২ জানুয়ারি), চট্টগ্রাম-সিলেট (১৩ জানুয়ারি), বরিশাল-খুলনা টাইগার্স (২২ জানুয়ারি), চট্টগ্রাম-সিলেট (২২ জানুয়ারি) এবং রাজশাহী-রংপুর (২৩ জানুয়ারি)। 

এই ম্যাচগুলো সন্দেহের তালিকায় এসেছে বেশ কিছু কারণে। সে সব ম্যাচে অদ্ভুত কিছুর দেখা মিলেছে। কেউ পরপর তিনটি ওয়াইড দিয়েছেন, বড় নো-বল করছেন, এছাড়া সন্দেহজনক একাদশ নির্বাচন আছে, বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাঝের ওভারে হঠাতই ধীরগতির ব্যাটিংয়ের নজির দেখা গেছে।

বিপিএলের ৭ দলের জন্য বিসিবি ৭ জন আকু ইন্টিগ্রিটি অফিসার নিয়োগ করেছে। তবে তাদের পারিশ্রমিক, আবাসন এবং অন্যান্য ভাতা দেওয়া সংশ্লিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি দিয়ে থাকে। যে প্রক্রিয়া ‘দুর্নীতি বিরোধী’ কর্মকর্তাদের সততা নিয়েও প্রশ্ন তোলার সুযোগ দিচ্ছে। ইন্টিগ্রিটি অফিসাররা ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে সরাসরি যুক্ত থাকায় আকু এর পক্ষ থেকে অজ্ঞাত সূত্র এবং মিডিয়া রিপোর্টে নির্ভর করা, এমন সংবেদনশীল বিষয়ে যে অনেক বিষয় ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন রাখা হতে পারে, সে সন্দেহের উদ্রেক ঘটাচ্ছে।

এখানেই শেষ নয়। রাজশাহী এবং চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজির ম্যাচে দু'জন ক্রিকেটারকে দলের ডাগআউটে দেখা গেছে, যাদের অফিসিয়াল টিম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে বিসিবির আকু প্রধান মেজর (অব.) রায়ান আজাদ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সে সব ক্রিকেটারের জন্য কোনো পিএমওএ (প্লেয়ার্স ম্যাচ অফিসিয়াল এরিয়া) ইস্যু করা হয়নি, তবে তিনি বলেছেন যে, যদি তাদের ডাগআউটে দলের সঙ্গে উপস্থিত থাকার প্রমাণ মেলে, তবে তিনি বিষয়টি তদন্ত করবেন।

পিএমওএ হচ্ছে ড্রেসিং রুম, ভিউইং এরিয়া (ডাগআউট), নেট, ডাইনিং এরিয়া, মেডিক্যাল রুম এবং অপারেশনাল রুম যা খেলোয়াড়, সহায়তাকারী স্টাফ এবং ম্যাচ অফিসিয়ালদের জন্য ব্যবহৃত হয়।

ডাগআউটে পিএমওএ ছাড়াই থাকার ঘটনা কেবল সন্দেহজনক কার্যকলাপের সুযোগই দেয় না, খেলোয়াড় অফিসিয়ালদের নিরাপত্তা প্রোটোকলও ভাঙার শঙ্কা তৈরি করে।

ঘটনাপ্রবাহ: বিপিএল-২০২৫


আরও পড়ুন

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম