ছবি: সংগৃহীত
কথা ছিল নতুন আঙ্গিকে হবে এবারের বিপিএল। টেক্কা দেবে পেছনের সব আসরকে। বাড়বে জৌলুস। তবে বাস্তবে হয়েছে তার উল্টো। একের পর এক বিতর্কে খবরের শিরোনাম হয়েছে বিপিএল। বদনাম হচ্ছে বিপিএলের। যা আগামীতে বিপিএলে নিয়ে আগ্রহ কমাবে বিদেশি ক্রিকেটারদের। এই অবস্থায় বিপিএলকে জৌলুসময় করার রেসিপি দিয়েছেন সাবেক জাতীয় দল ও বর্তমান ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
বর্তমানে গোটা বিশ্বেই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের কদর বেড়েছে। বিপিএলের একই সময়ে হচ্ছে আরও ৫লিগ। অস্ট্রেলিয়ায় বিগ ব্যাশ, নিউজিল্যান্ডে সুপার স্ম্যাশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় এসএ ২০ আর দুবাইয়ে আইএল টি-টোয়েন্টি। যে কারণে ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটার টানতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে। এই সমস্যা সমাধানে বিপিএলের সূচি পরিবর্তনের কথা বলেছেন তামিম।
বিপিএলের সূচি নিয়ে তামিম ইকবাল বলেন, ‘আমার মনে হয় বিপিএলের প্রথম শিডিউল ছিল অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে। এটা ভালো সময় ছিল। এ সময় এসএ-টোয়েন্টি ও আইএলটি-টোয়েন্টি এই দুই মেজর লিগের সাথে সাংঘর্ষিক হবে না।’
এমন কথার পেছনে যুক্তি দেখিয়ে তামিম বলেন, ‘একবার বিপিএলের সূচি পরিবর্তন হয় বাংলাদেশ দলের খেলা থাকায়। এছাড়া ঐ সময়েই হতো। কারণ তখন তেমন খেলা থাকে না। তখন শুধু হয়ত আবুধাবি টি-টেন। একটা টুর্নামেন্টের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়া দুটার চেয়ে ভালো।’
দেশি ক্রিকেটারদের প্রাধান্য দিতে একাদশে দুই বিদেশি ক্রিকেটারের কথা শোনা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তামিম বলেন, ‘দুই বিদেশি না, আমার মতে চার বিদেশিই ঠিক আছে। পিএসএলে আমাদের চেয়ে অনেক বেশি বিদেশি খেলতে যায়। অথচ পিএসএলে একসময় দল ছিল পাঁচটি।’
পিএসএলকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে বিপিএলের মান বাড়ানোর তাগিদ দেন তামিম। বলেন, ‘ওখানে ক্রিকেট কোয়ালিটি এতটাই ভালো। আমরা ৭-৮টি দল নিয়ে শুরু করেও… খেলোয়াড়রা বলতে পারে দল বেশি থাকলে লোকাল প্লেয়ারদের খেলার সুযোগ বাড়ে। তবে দল কম হলে প্রতিযোগিতাও তো বাড়ে। এনসিএল, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করার ক্ষুধা বাড়বে। আমার মতে ৬ দলের বেশি হওয়া উচিৎ নয়। ৫ দল হলে ভালো হয়।’