প্রতীকী ছবি
টেস্ট মর্যাদা পাওয়া দেশের সংখ্যা এখন ১২। দেশগুলো হচ্ছে- অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড এবং আফগানিস্তান। এর মধ্যে একবিংশ শতাব্দীতে টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ বাদে বাকি দুই দেশ ২০১৮ সালে টেস্ট খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।
তবে এই দুই দেশের আদৌ টেস্ট খেলার যোগ্যতা আছে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল। সম্প্রতি ইএসপিএনক্রিকইনফোতে লেখা এক কলামে টেস্ট ক্রিকেটে উত্তরণ-অবনমন চালুরও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
টেস্ট মর্যাদা পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি দলই এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট উপহার দিতে পারে উল্লেখ করে চ্যাপেল লিখেছেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে, অল্পকটি দেশই পাঁচ দিনের খেলায় লম্বা সময় ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে।’
টেস্ট ক্রিকেটের নবীন দুই দলের দিকে ইঙ্গিত করে চ্যাপেল যোগ করেন, ‘উত্তরণ ও অবনমন রাখা যেতে পারে। দলগুলোকে টেস্ট মর্যাদা দেওয়ার আগে সুনির্দিষ্ট কিছু মানদণ্ড পূরণ হওয়া দরকার। যার মধ্যে থাকবে, তাদের কার্যকর প্রথম শ্রেণির প্রতিযোগিতা আছে কি না, পাঁচ দিনের টেস্ট খেলার মতো যৌক্তিক ভিত্তি আছে কি না, মাঠগুলোয় পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা আছে কি না, তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা আছে কি না।’
এসব মানদণ্ড পূরণসাপেক্ষে কোন দল যদি কয়েক বছর ধরে একটা উচ্চমান বজায় রাখতে পারে, তবেই তাদের উত্তরণের পক্ষে চ্যাপেল। তিনি লিখেছেন, ‘অস্থিতিশীল আফগানিস্তান কি তাদের দেশে টেস্ট আয়োজন করতে পারবে? আয়ারল্যান্ডের কি টেস্ট আয়োজনের মতো যথেষ্ট মাঠ আছে? এসব প্রশ্নের একটাই উত্তর না। তাহলে কেন এই দেশগুলোর টেস্ট মর্যাদা থাকবে?’