বছর দেড়েক আগে জাতীয় শরীর গঠন প্রতিযোগিতার পুরস্কারে লাথি মেরে সমালোচিত হয়েছিলেন বডিবিল্ডার জাহিদ হাসান। আবারও তিনি চলে এসেছেন শিরোনামে। এবার তার ওপর আজীবন নিষেধাজ্ঞা নেমে এসেছে।
তার অপরাধ সতীর্থ এক বডিবিল্ডারকে মারধর ও মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন তিনি। সে কারণে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হলেন জাহিদ।
সম্প্রতি বাংলাদেশ জিম মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াসের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জাহিদ হাসানের আক্রমণের শিকার কুয়েতুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর সেপ্টেম্বরে আমার একটি ব্যক্তিগত বিষয় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় জাহিদ। ফেক আইডি খুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেটি ভাইরাল করে দেওয়ায় আমি আদালতের শরণাপন্ন হই। সেসময় মুচলেকা দিয়ে আদালত থেকে ছাড়া পায় জাহিদ। সেই থেকে আমার ওপর তার ক্ষোভ। কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়াতে একই এলাকায় আমাদের বাড়ি। গত ২০ জানুয়ারি ইকুরিয়া বাজারে হঠাৎ আমার ওপর চড়াও হয় সে। আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা আমার মাকেও প্রচণ্ড মারধর করে। আমি এর বিচার চাই।’
এ ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ জিম মালিক সমিতি। সভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, ‘জাহিদ একজন বদরাগী এবং একরোখা বডিবিল্ডার। মেন্স ফিজিক্স খেলোয়াড়দের মিস্টার বাংলাদেশ পদবি তাকে দেওয়া না হলেও সে নিজেকে তা দাবি করে।’
তিনি যোগ করেন, ‘দেড় বছর আগে তার গোয়ার্তুমির কারণে ফেডারেশন থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম। সেই কষ্ট নিয়ে তিনি মারা গেছেন। জাহিদ হাসানকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করেছি। এর ফলে সে কোনো জিমে ব্যায়াম, চাকরি বা অন্য কোনো সুবিধা পাবে না। যারা তাকে আশ্রয় দেবে, সেই জিমকে আমরা বয়কট করব। বাংলাদেশে শরীর গঠনের সব খেলা থেকেও তাকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হলো।’ এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ফোন করলে তা তোলেননি অভিযুক্ত জাহিদ হাসান।