মঞ্চ যেমনই হোক, বিরাট কোহলি মানে প্রতিপক্ষের জন্য আতঙ্কের অন্য নাম। তিনি উইকেটে টিকে যাওয়া মানে ম্যাচ হাত ফসকে বেরিয়ে যাওয়া। মঞ্চটা যদি ফাইনাল হয়, তাহলে তার উইকেটের মূল্য বেড়ে যায় বহুগুণে।

২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে সেই তিনি বড় এক সুযোগই দিয়েছিলেন পাকিস্তানকে। তবে তার ক্যাচটা পাকিস্তানের স্লিপ ফিল্ডার তালুবন্দি করতে পারেননি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সে স্মৃতি আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শাদাব খান।

মোহাম্মদ আমিরের বলে ভারত তখন হাঁসফাঁস করছিল। যদিও পাকিস্তান তাদের সামনে ৩৩৯ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। তবু স্বস্তি ছিল না, কারণ ভারতের ব্যাটিং লাইন আপটা যে লম্বা! তার ওপর ক্রিজে ছিলেন কোহলি নিজে।

প্রথম ওভারে রোহিতকে হারানোর পর ইনিংস গড়ায় মনোযোগ দিয়েছিলেন কোহলি। তবে নিজের অষ্টম বলেই তিনি ক্যাচ তুলে দেন স্লিপে। সেখানে থাকা আজহার আলী ক্যাচটা নিতে পারেননি। দুই তিন বারের চেষ্টা সত্বেও তার হাত ফসকে বেরিয়ে যায় বলটা।

সে স্মৃতি রোমন্থন করে শাদাব খান বলেন, ‘যখন আজহার আলী ক্যাচটা ফেলল, তখন আমি পয়েন্টে ছিলাম। তার মনোবল বাড়াতে তার কাছে ছুটে গিয়েছিলাম। তবে মনে মনে ভাবছিলাম, সে এমন এক খেলোয়াড়, যে খেলাটা হাত থেকে বের করে নিয়ে যেতে পারে যে কোনো মুহূর্তে।’

তবে তার ঠিক পরের বলেই আবার সুযোগ দেন কোহলি। এবার তা গিয়ে পড়ে পয়েন্টে থাকা শাদাব খানের হাতে। এবার আর কোনো ভুল হয়নি। শাদাব খান বলেন, ‘আমি দেখিইনি প্রথমে। কারণ, পয়েন্টের ফিল্ডার হিসেবে আপনাকে ব্লেডটা কোথায় যায় তা দেখতে হবে। আমি জানি না আমি কীভাবে ক্যাচটা হাতে নিতে পারলাম। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমরা তা করতে পেরেছিলাম। না হলে জিততে পারতাম না।’

কোহলির সে উইকেটের পর ভারত এক পর্যায়ে ৭২ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে বসে। সেখান থেকে দলটা ম্যাচে ফিরতে পারেনি আর। হার্দিক পান্ডিয়ার ৪৩ বলে ৭৬ রানের ইনিংস সত্ত্বেও অলআউট হয় ১৫৮ রানে। পাকিস্তান ম্যাচটা জেতে ১৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে।