ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের কড়া নির্দেশ— সফরে ১৪ দিনের বেশি সময় পরিবারকে সঙ্গে রাখতে পারবেন না কোনো ক্রিকেটার। হোক সে সিনিয়র কিংবা জুনিয়র। বিরাট কোহলিদের আরও দশটি নতুন নিয়ম এনেছে বিসিসিআিই। বিষয়টি ভালো লাগেনি ব্রাড হগের। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী মনে করেন, শুধু শুধু ক্রিকেটারদের পরিবারের পেছনে লেগেছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড।

অজিদের সাবেক তারকা মতে, এসব নিয়ম আখেরে ভালো কিছু বয়ে আনবে না। হগ সরাসরি কোহলিকে উদাহরণ টেনে বিষয়টি ব্যাখা করেছেন। তোপ দেগেছেন কোচ গৌতম গম্ভীরের দিকে। অজি তারকার বিশ্বাস আনুষ্কা শর্মাকে পাশে না পেলে ব্যর্থতা আরও দীর্ঘায়িত হবে কোহলির। অন্য ক্রিকেটাররাও ভুগবে এমন সব নিয়মে।

হগ বলেছেন, ‘যখন কোহলি তিন ফরম্যাটে দাপট দেখাচ্ছিল, তখন মাঠের বাইরে ওর কোনো দায়িত্ব ছিল না। এখন ওর নিজের পরিবার হয়েছে। আমার মনে হয়, মাঠের বাইরেই প্রচুর চাপ রয়েছে ওর উপর, সেই কারণেই ভালো খেলতে পারছে না মাঠে নেমে। তার মধ্যেই নতুন নিয়ম চালু করেছে বিসিসিআই। সেটার জন্য আরও চাপ পড়বে কোহলির উপর। আমার মনে হয়, বিদেশ সফরে যতটা বেশি সম্ভব ক্রিকেটারদের সঙ্গে থাকা উচিত তাদের পরিবারের।’

২০০৩ ও ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বিশ্বকাপ জেতা তারকা সরাসরি আঙুল তুলেছেন বোর্ডের এমন একতরফা সিদ্ধান্তের দিকে। বর্ডার-গাভস্কার ট্রফিতে ব্যর্থতার পেছনে ঢালাওভাবে ক্রিকেটারদের পরিবারকে দোষারোপ করা হচ্ছে, তার সমালোচনা করেছেন হগ। অজি তারকা ভারতের ব্যর্থ হবার কারণও খুঁজে পেয়েছেন একটি। তার মূলে কোচ গম্ভীর ও তার অস্থির ড্রেসিংরুম।

‘শৃঙ্খলা, একতা ও ইতিবাচক পরিবেশ’ নিশ্চিতে মনোযোগী ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের পারফরম্যান্স নিম্নগামী। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সবশেষ সিরিজ হারে হাতছাড়া হয়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। তাই ক্রিকেটারদের তটস্থ করতে শৃঙ্খলা নিয়ে কঠোর অব্স্থানে বিসিসিআই।

যদি কোনো ক্রিকেটার বিসিসিআইয়ের এসব নিয়ম লঙ্ঘন করেন, তাহলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারকে আইপিএলসহ বোর্ডের সমস্ত টুর্নামেন্ট থেকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া। এমনকি বোর্ডের চুক্তির অর্থ বা ম্যাচ ফি’ও পাবেন না সে ক্রিকেটার।