Logo
Logo
×

খেলা

বাংলাদেশকে অলিম্পিক সোনা এনে দিতে চান বান্দরবানের জিমন্যাস্টরা

Icon

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৩ এএম

বাংলাদেশকে অলিম্পিক সোনা এনে দিতে চান বান্দরবানের জিমন্যাস্টরা

কারও গলায় পদক। কেউ প্যারালাল বারে নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছেন। ব্যালান্স বীমে কসরত করছেন অনেকে। বৃহস্পতিবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমনেশিয়ামে গিয়ে দেখা মিলল বান্দরবানের কোয়ান্টাম কসমো স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের। সবাই এসেছেন তারুণ্যের উৎসবে প্রথম জাতীয় যুব জিমন্যাস্টিক্সে অংশ নিতে। তাদের চোখে অলিম্পিকের স্বপ্ন। 

দুদিনব্যাপী খেলা শেষে পুরুষ বিভাগে ২০০.৭২ পয়েন্ট পেয়ে সেরা হয়েছে কোয়ান্টাম। সেরা জিমন্যাস্ট চ্যাম্পিয়ন দলের মংচিং প্রু ত্রিপুরা। মেয়েদের বিভাগে ৯৪.৮০ স্কোরে চ্যাম্পিয়ন কোয়ান্টাম। এই বিভাগের সেরা জিমন্যাস্ট বিকেএসপির বনফুলি চাকমা। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশে কাতারের উপ-রাষ্ট্রদূত মো. খালিদ আল মাদিদ। এ সময় ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আহমেদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

‘অলিম্পিকে সোনা আমরা জিতবোই’-এই স্লোগানে লামার গ্রাউন্ড অলিম্পিয়ানে অনুশীলন করেন এই ছেলেমেয়েরা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এক হাজার ফুট উঁচুতে নিয়মিত খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণের ফলে শিশুদের স্ট্যামিনা অন্য যে কোনো অঞ্চলের শিশুদের তুলনায় বেশি হয়। পাশাপাশি যথাযথ প্রশিক্ষণ তাদের ক্রমাগত দক্ষ করে তুলছে। সাত বছর ধরে কোয়ান্টাম শিশুকাননের শিক্ষার্থীরা জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশ নিয়ে সেরার তকমা ছিনিয়ে নিচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের জাতীয় যুব জিমন্যাস্টিক্সে সেরা হয়েছে লামার স্কুল।

জিমন্যাস্টিক্সে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাফল্য নিয়ে কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মেন্টন টনি বলেন, ‘দিনে দুই বেলা আমাদেরকে মেডিটেশন করানো হয়। সেখানে শেখানো হয়, ‘আমরাই পারব’। সেই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে আমরা খেলায় অংশ নিই।’ 

বয়সভিত্তিক জিমন্যাস্টিক্সে দেশের একমাত্র ক্রীড়াবিজ্ঞান সংস্থা বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) শিক্ষার্থীদের পেছনে ফেলছে কোয়ান্টাম। কসমো স্কুল অ্যান্ড কলেজের আরেক শিক্ষার্থী হ্লাখিং মারমার কথা, ‘আমাদের আরেকটি বিষয় শেখানো হয়, ‘মন চাওয়া’। মন যা চাইবে তাই করতে পারব। তাই আমরা মনে গেঁথে নিয়েছি অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতব। সেটাকে মাথায় রেখেই আমরা কোয়ান্টামে খেলা শিখছি এবং জাতীয় পর্যায়ে সাফল্য কুড়িয়ে নিচ্ছি।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম