ক্যারিবিয়ান মুুলুকে ইতিহাস গড়তে চায় বাংলাদেশ— ছবি: বিসিবি
তিন ম্যাচের সিরিজে লক্ষ্য চার পয়েন্ট অর্থাৎ দুটি জয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে হেরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। দ্বিতীয়টিতে আজ দুর্দান্ত জয়ে সিরিজে ফিরেছে তারা। বিদেশের মাটিতে প্রথমবার সিরিজ জয় এবং সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত— দুটি সম্ভাবনাই এখন বেঁচে আছে। নিগার সুলতানা জ্যোতি এক ঢিলে দুটি শিকার করতে চান।
ভারতের মাটিতে বসা বিশ্বকাপে সরাসরি
খেলতে বাংলাদেশের মেয়েদের প্রয়োজন আর দুটি পয়েন্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সবশেষ ম্যাচে হারাতে
পারলে সেটি মিটে যাবে। সিরিজে সবশেষ ম্যাচটি বগলধাবা করতে পারলে একটি বড় রেকর্ড গড়ে
ফেলবেন জ্যোতি ব্রিগেড। দেশের বাইরে কোনো দলের বিপক্ষে সিরিজ জেতার আক্ষেপও ঘোচাতে
পারবেন টাইগ্রেসরা।
আজ ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে
লড়ার পর জ্যোতি শুনিয়েছেন সেই প্রত্যয়, ‘সমীকরণের
চিন্তা এখনও করছি না। প্রথম ম্যাচে হারের একদিন পরই দল এভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, এটাই সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে এটা অনেক কাজে দেবে। দুইটা পয়েন্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে প্রথম
ইনিংস শেষে সামনে চলে এসেছিল প্রশ্নটি। এই রান যথেষ্ট হবে তো? নাকি হেরে গিয়ে সরাসরি
বিশ্বকাপে যাওয়ার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে হবে? পুঁজিটা মাত্র ১৮৪ রানের। প্রথম ম্যাচে
যে এর চেয়ে বেশি রান তুলেও ম্যাচটা জিততে পারেনি বাংলাদেশ! সেই ম্যাচটিতেই বোলিং তাণ্ডব।
স্পিন ঘূর্ণিতে ৩৫ ওভারে মাত্র ১২৪ রানে গুটিয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা। বাংলাদেশ বাঁচিয়ে
রাখে আশা।
সেই আশা এবার দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে অনেকটা
বাড়িয়ে নিতে চান বাংলাদেশের অধিনায়ক, ‘মোরাল
ভিক্টোরির জন্য জয়টি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পরবর্তী ম্যাচেও এটা অনুপ্রেরণা যোগাবে। সিরিজ
জয়ের একটা সম্ভাবনা থাকবে। বিদেশে কখনও সিরিজ জিততে পারিনি। তাই এটা যদি অর্জন করতে
পারি, তাহলে সেটা দলের জন্য একটা মাইলস্টোন হয়ে থাকবে।’
নিগারদের লক্ষ্যও এখন নিশ্চিত— বিশ্বকাপ
সরাসরি খেলা এবং সিরিজ জেতা। কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছাতে হলে ২৫ জানুয়ারি শেষ ওয়ানডে
জিততেই হবে বাংলাদেশের মেয়েদের। অন্যথায় বিশ্বকাপের সঙ্গে সিরিজটাও খোয়া যাবে। জ্যোতিরা
আশাবাদী, অমনটি হতে দেবেন না তারা।