Logo
Logo
×

খেলা

সিগন্যাল পাঠিয়ে ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতান ‘আইআইটি বাবা’

Icon

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০২ এএম

সিগন্যাল পাঠিয়ে ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতান ‘আইআইটি বাবা’

ছবি: সংগৃহীত

আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে ভারত ফাইনাল খেলবে এবং অবশ্যই ম্যাচটি হারবে— রীতি হয়ে উঠেছিল এমন। ২০২৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেনসিংটন ওভালে সেই শাপ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে মোচন করে রোহিত শর্মার দল। ওই ফাইনালেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বড়সড় ভুল করে বসেছিল টিম ইন্ডিয়া। তখন সিগন্যাল পাঠিয়ে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন ‘আইআইটি বাবা’ অভয় সিং। তিনি দাবি করেছেন ভারতে বসেই রোহিতকে পরামর্শ দিয়েছিলেন।

আইআইটি বাবা অভয়ের সাক্ষাৎকার নিয়েছে ভারতের একটি পত্রিকা। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বিশ্বকাপ জেতানোর পেছনে অন্যতম কারিগর বলে দাবি করেছেন। কেনসিংটনে শিরোপা নির্ধারণের মঞ্চে রোহিত সেদিন ভুল করতে বসেছিলেন। তখন বাতাস ও ক্যামেরার শক্তি ব্যবহার করে ভারতে থেকে ক্যারিবিয়ান দ্বীপের মাঠটিতে বার্তা পাঠিয়েছিলেন অভয়। অবাধ্য রোহিতকে জোর করেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়াকে বোলিংয়ে আনতে।

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সত্যিই সেদিন ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন হার্দিক। জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার তখন ২৪ বলে ২৬ রান প্রয়োজন। হাতে ছিল চার উইকেট। উইকেট ফিফটি করে ব্যাট হাঁকাচ্ছেন হেনরি ক্লাসেন। তখন ক্লাসেনকে আউট করে মোড় ঘুরিয়ে দেন হার্দিক। এরপর ম্যাচটাও ৭ রানে জিতে নেয় ভারত। কাটায় ১৩ বছরের আইসিসির শিরোপাখরা। অভয় সিংয়ের দাবি, তিনি না হস্তক্ষেপ করলে অমন কিছু জীবনেও করতে পারত না ভারত।

সাক্ষাৎকারে সেদিনের গল্প ভিডিওতে বলেছেন অভয়। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সাধু বাবা বলেছেন, ‘আমি ক্রিকেটে ম্যাচ জেতাতে পারি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আমি করেছিলাম। আমি ওকে (ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা) বারবার বলছিলাম— আরে ভাই, হার্দিককে বল দে, হার্দিককে বল দে। কিন্তু বল দিচ্ছিল না।’

সাংবাদিক তখন পালটা প্রশ্ন করেন, আপনার এসব কথা মানুষ কেন বিশ্বাস করবে? উত্তরে অভয় সিং জানান, ‘এখানে বসে সিগন্যাল পাঠাতে হবে। ওই সেই সিগন্যাল লাইভ আসছে। তো বিষয়টা বুঝুন। বিষয়টা একই। একই শক্তি, যা এই রূপে আসছে। তারপর তরঙ্গ আকারে বাতাস দিয়ে গিয়ে কোনো টাওয়ারে পৌঁছে যাচ্ছে। ওই টাওয়ারে কীভাবে পৌঁছাল? ওখানে যে ক্যামেরা ছিল, তা শক্তিকে শুষে নেয়। তাই কোথাও না কোথাও গিয়ে বিষয়টা নিজের সামনেই দেখতে পাচ্ছেন। মাঝে শুধু তথ্যের পরিবর্তন হচ্ছে। কোড, ডিকোড হচ্ছে। এই রূপে কোড হবে, তারপর ওই রূপে ডিকোড হবে।’

আইআইটি বাবার এই দাবির পর অনেকে ক্ষোভে ফুঁসেছেন। মজা করতেও ছাড়ছেন না অনেকে। কারও মত, এই অভয় বাবাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষ পর্যন্ত যেন ভারতের ক্রিকেট বোর্ড নিযোগ দেয়। কেউ সরাসরি ভণ্ডামি বলে মন্তব্য করেছেন। সাক্ষাৎকারটির বেশ কিছু ভিডিও ক্লিপ ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম