ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে বেশ কিছু ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দিয়েছে বিসিসিআই। তবে ঠিক এই সময়ে তাদেরকে আবার পাঠানো হচ্ছে রঞ্জি ট্রফিতে। তবে এতে কোনো সমস্যা দেখছেন না ভারতের প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার।

পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ নাকি লাল বলের ক্রিকেট যার দৈর্ঘ্য ৪ দিনের, কোনটা বেশি শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা নেয়– এই প্রশ্নের জবাবে সব ক্রিকেটার এক বাক্যে মেনে নেবেন যে লাল বলের ক্রিকেটই বেশি কঠিন। বিসিসিআই ঋষভ পান্ত, যশস্বী জয়সওয়ালদের ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে বিশ্রাম দিয়েছে ঠিক, কিন্তু তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে রঞ্জি ট্রফিতে, যেখানে গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো হয় ৪ দিন দৈর্ঘ্যের।

বিসিসিআইয়ের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা হচ্ছে বেশ। তবে অজিত আগারকার এতে কোনো সমস্যাই দেখতে পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘জানুয়ারির ৫ তারিখ টেস্ট ম্যাচ শেষ হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি রঞ্জির ম্যাচ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেটা হবে ৬ ফেব্রুয়ারি। তো অনেক সময় আছে মাঝে, যেখানে খেলা যায়।’

রঞ্জিতে না খেলার কোনো কারণই দেখছেন না তিনি। তার কথা, ‘আমি জানি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আছে। কিন্তু আমাদের টি-টোয়েন্টি দলের খেলোয়াড়দের পুলটা অনেক বড়। তাই কিছু খেলোয়াড়কে আমরা বিশ্রাম দিতেই পারি। যদি কারো পুরোপুরি বিশ্রামের দরকার হয়, ফিজিও আমাদের জানাবেন, সেটা এনসিএ থেকে হোক কিংবা দলের ফিজিওই হোক।’

২৩ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া রঞ্জির ষষ্ঠ রাউন্ডে খেলবেন রোহিত শর্মা। ইতোমধ্যে অনুশীলন শুরু করেছেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমকে তার খেলার বিষয়টা নিশ্চিতও করেছেন রোহিত। ফর্ম ফিরে পেতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

এতে বিসিসিআইয়ের হাতও দেখছেন অনেকেই। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর, কোচ গৌতম গম্ভীরের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রোহিত। তবে বিসিসিআই খেলোয়াড়দের রঞ্জিতে খেলার ‘আদেশ’ চাপিয়ে দেয়নি পান্ত-রোহিতদের ওপর, জানালেন আগারকার। 

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সবারই সুযোগ থাকলে খেলতে নামা উচিত। আপনি তিন ফরম্যাটে খেলছেন, তখন এটা কঠিন, আপনি সময়ই পান না। এখন একটু সময় পাওয়া গেছে, এই রাউন্ডে আপনি অনেক খেলোয়াড়কে রঞ্জিতে দেখবেন। যারা ফিট আছে, সময় আছে, তারা খেলবেন, এমনটাই প্রত্যাশা করবেন আপনি। আমার মনে হয় না এর পেছনে কোনো আদেশের প্রয়োজন আছে।’