লোভনীয় চুক্তি বটে! প্রায় এক দশক ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে থাকবেন আর্লিং হালান্ড। প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসের দীর্ঘ চুক্তিতে নেই রিলিজ ক্লজ, অর্থাৎ সিটি না চাইলে কেউ হালান্ডকে কিনতেও পারবে না। কিংবদন্তি ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো কিংবা লিওনেল মেসিদের কেউ এমন চুক্তি পাননি। সে চুক্তিই হালান্ড পেয়েছেন। দুহাতে টাকা আয় করার সুযোগও এসেছে নরওয়েজিয়ান সেনশেসনের।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক অনলাইন গণমাধ্যম টিবিআর ফুটবল দিয়েছে চোখ কপালে ওঠা খবর। ২৪ বর্ষী হালান্ড নতুন চুক্তির ফলে আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ অর্থ আয় করবেন। এত টাকা পাবেন, যা ইংল্যান্ডে কোনো ফুটবলার এখন কিংবা আগেও পায়নি। সপ্তাহে ৫ লাখ পাউন্ড পকেটে পুরবেন হালান্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা সাড়ে ৭ কোটি টাকা ছাড়াবে।

হালান্ডকে ২০২২ সালে ৬ কোটি ইউরো খরচ করে দলে টেনেছিল সিটি। এরপর থেকে তারকা ফরোয়ার্ড ১২৬ ম্যাচ খেলেছেন, করেছেন ১১১ গোল। শিরোপার খাতাটাও মন্দ নয় তার। ৩ বছরে সিটির হয়ে জিতেছেন ২টি লিগ, একটি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, এফএ কাপ ও সুপার কাপ। ২০২৩ সালে লিওনেল মেসির সঙ্গে ব্যালন ডি’অর দৌড়েও ছিলেন হালান্ড। চলতি মৌসুমে ২৮ বার মাঠে নেবে ২১ বার জাল খুঁজে পেয়েছেন হালান্ড। 

নরওয়েজিয়ান এই তারকার চুক্তি ছিল ২০২৭ সাল পর্যন্ত। তবে এখন সে চুক্তির মেয়াদ বেড়ে গেল আরও ২০৩৪ সাল পর্যন্ত। আগামী ৯.৫ বছরের জন্য সিটির সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর করেছেন তিনি। এখনো চুক্তির খুঁটিনাটি জানা যায়নি। তবে এই চুক্তিটা যে ইতিহাসেরই অন্যতম লোভনীয় চুক্তি, তা নিয়ে সন্দেহ নেই সংবাদমাধ্যম অ্যাথলেটিকের।

তবে টিবিআর ফুটবলের সিনিয়র সংবাদদাতা গ্রেমি বেইলি শুনিয়েছেন আরেকটি মাথা ঘুরে যাওয়া খবর। ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বেশি অর্থ আয় করা ফুটবলার তো হালান্ড হয়েছেনই, এছাড়া হতে পারেন ফুটবলের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়ও। সাপ্তাহিক ৫ লাখ পাউন্ড ছাড়াও হালান্ডের অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে বোনাস ও ইমেজ স্বত্তের টাকা। সব মিলিয়ে তা সাড়ে ৭ লাখ পাউন্ড ছাড়াতে পারে। সেক্ষেত্রে পেছনে পড়তে পারেন রিয়াল মাদ্রিদের দামি খেলোয়াড় কিলিয়ান এমবাপে।

ক্যাপালজি দিয়েছে আরও বড় খবর, বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের তারকা এখন থেকে সিটির সবচেয়ে বেশি আয় করা খেলোয়াড়। হালান্ড পেছনে ফেলেছেন কেভিন ডি ব্রুইনাকে। সিটি থেকে প্রতি সপ্তাহে ব্রুইনা নেন ৪ লাখ পাউন্ড। চুক্তির আগে ৩.৭৫ লাখ পাউন্ড পেতেন হালান্ড। এখন পাবেন ৫ লাখ। ইমেজ সত্ব ও বোনাস তো থাকছেই!