গেল বছরের মার্চে অভিষেক। এক বছরও হয়নি, সাইম আইয়ুব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের নামটা ভালোভাবেই প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন। ৪৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৯ ম্যাচ খেলে ৩ সেঞ্চুরি ১টি ফিফটি করে তিনি বনে গেছেন পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের বড় ভরসা।

তার এমন ব্যাটিং নজর কেড়েছে সব কিংবদন্তি ক্রিকেট বিশ্লেষকদের। ভবিষ্যৎ ক্রিকেটের শীর্ষ চার ব্যাটার বা ‘ফ্যাবিউলাস ফোরের’ একজন হবেন তিনি, এমনটাই অভিমত সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক নাসের হুসেইনের। 

তিনি সম্প্রতি একটি পডকাস্টে সাবেক সতীর্থ মাইক অ্যাথারটনকে জানান এই অভিমত। তিনি বলেন, ‘আমি সাইম আইয়ুবকে নিয়েই বাজি ধরতে চাই। আমার মনে হয় সে বহু ফরম্যাটের খেলোয়াড়। সে একটা চোট পেয়েছে, সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আগে ফিট হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে সে সব ফরম্যাটে  পাকিস্তানের টপ অর্ডারের কাণ্ডারি হতে পারে।’

এই দলে সাইম আইয়ুব ছাড়াও আছেন নাসেরের স্বদেশী হ্যারি ব্রুক, যিনি পাকিস্তান সফরে দারুণ একটি ত্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন। এছাড়াও যশস্বী জয়সওয়াল আর ট্র্যাভিস হেডকেও তিনি রেখেছেন চার জনের এই তালিকায়। 

যদিও হেডের বয়সের কারণে তাকে এই তালিকা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন অ্যাথারটন। তিনি শ্রীলঙ্কার কামিন্দু মেন্ডিসকে নিয়েছেন এই তালিকায়। ব্রুক-জয়সওয়াল তো আছেনই, অ্যাথারটনের ফ্যাব ফোরে জায়গা করে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র।

‘ফ্যাব ফোর’ কথাটা ক্রিকেটে প্রবর্তন করেছিলেন মার্টিন ক্রো। ২০১৩ সালে তিনি বলেছিলেন বিরাট কোহলি, জো রুট, স্টিভ স্মিথ ও কেন উইলিয়ামসনরা ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করবেন। তারা যখন সেটা করলেন সব ফরম্যাটে, এরপরই বিষয়টা জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়। এতটাই যে এখন প্রজন্ম ধরে ধরে এই ‘ফ্যাব ফোর’ বের করা হচ্ছে।

২২ বছর বয়সী সাইম ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই নাম করেছেন বেশ। আগ্রাসী অথচ স্থিতধী ব্যাটিংয়ের জন্য পাকিস্তান ব্যাটিং লাইন আপের অন্যতম সেরা একজনে পরিণত হয়েছেন তিনি। গেল বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ৩ ওয়ানডেতে ২ সেঞ্চুরি করেন তিনি, বনে যান সিরিজ সেরা খেলোয়াড়। 

এরপরই একটা চোট পান তিনি। যার কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তার খেলা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে শঙ্কা। তবে তাকে পেতে পাকিস্তান মরিয়া হয়ে আছে। এতটাই যে দ্বিতীয় ম্যাচেও যদি তার খেলার সম্ভাবনা থাকে, তবু তাকে দলে রাখতে চায় পিসিবি। নাসের হুসেইন তো শুধু শুধুই আর তাকে ভবিষ্যতের ফ্যাব ফোরের একজন বানাননি!