এবারের বিপিএলে শুরু থেকে রান উঠছে দেদারসে। ঢাকা পর্বেও ২০০ রান তাড়া হওয়ার নজির দেখা গেছে। তবে বিপিএলের ঢাকা আর সিলেট পর্বে বাউন্ডারির সীমা ছিল গড়ে ৬০ মিটারের আশেপাশে। যা নিয়ে আলাপ তুলেছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও হাস্যরস দেখা গেছে বেশ।

দুই পর্ব শেষে বিপিএলের তৃতীয় পর্বটা আজ অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। এই মাঠ অন্য দুই মাঠ থেকে তুলনামূলক বেশি রানপ্রসবা। ব্যাটিং বান্ধব উইকেটের সঙ্গে যদি যোগ হয় ছোট বাউন্ডারিও, তখন তো রানের গতি আকাশ ছুঁয়ে যাওয়ার কথা! 

তবে চট্টগ্রামের সাগরিকায় এমন কিছু দেখা যাবে না। আশ্বাস দিয়েছেন মাঠের পিচ কিউরেটর জাহিদ রেজা চৌধুরী। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের উইকেটে এমনিতেই রান হয়। পৃথিবীর সব দেশের ব্যাটসম্যানরা এখানে ব্যাটিং করে আনন্দ পায়। উইকেট সেভাবেই প্রস্তুত করা হয়েছে। শুনলাম সেদিন হেলস বলেছেন এখানে আসতে না পেরে ওর খারাপ লাগছে। কেন জানেন, ও এখানে সেঞ্চুরি করেছিল বিশ্বকাপ খেলতে এসে। তখন থেকেই ওর প্রিয় মাঠ।’

জাহিদ জানালেন, এই মাঠে এমনিতেই রান হয়, সীমানা ছোট করার প্রয়োজন পড়ে না তাই। তার ভাষ্য, ‘আমাদের সীমানা ছোট করার প্রশ্নই আসে না। এমনিতেই বোলাররা টি-টোয়েন্টিতে বেধড়ক পিটুনি খেয়ে থাকেন। এর উপর যদি সীমানা ছোট করে দেই তাহলে ওদেরকে তো প্রবল চাপে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের মাঠে এমনিতেই রান হবে। সীমানা ছোট করার কোনো সুযোগ আমি দেখি না।’

পুরো বিপিএলে গড়পড়তা বাউন্ডারি দড়ির অবস্থান ছিল ৬০ মিটারের আশেপাশে। তবে চট্টগ্রামে এর পরিধি বাড়ছে। ৭০ মিটারের আশেপাশে বাউন্ডারি হবে সেখানে। চট্টগ্রামের সাগরিকায় ব্যাটিং বান্ধব উইকেটের খ্যাতি আছে বেশ। 

তবে সে মাঠে বড় বাউন্ডারির সামনে পড়লে হুট করে ব্যাটারদের মানিয়ে নিতেও সময় লাগতে পারে। যার ফলে ব্যাটিং সহায়ক উইকেট হলেও শুরুর দিকে বেশ কিছু লো স্কোরিং ম্যাচের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না আদৌ।