পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) প্লেয়ার্স ড্রাফটে দল পাননি দেশটির তরুণ পেসার ইহসানউল্লাহ। চোটাঘাতে প্রায় দেড় বছর মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। সম্প্রতি মাঠে ফিরলেও ড্রাফটে তার প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কেউ। আর সেই ক্ষোভ থেকে আর কখনোই পিএসএলে খেলবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন ২২ বছর বয়সি এই পেসার।

পাকিস্তানে সংবাদমাধ্যমে ক্ষুব্ধ ইহসানউল্লাহ বলেন, ‘একটি ফ্র্যাঞ্চাইজিও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। যদি আপনি পারফর্ম করেন, এসব ফ্র্যাঞ্চাইজি আপনার পেছনে লেগে থাকবে। এখন আমার লক্ষ্য তাদের নিজের পেছনে আটকে রাখা এবং আমার সেরকম পারফরম্যান্স দরকার।’

পিএসএল যেসব ফ্র্যাঞ্চাইজিরা তাকে অবহেলা করেছেন, তাদের সামনে নিজেকে প্রমাণের চ্যালেঞ্জ হাতে নিয়েছেন ইহসানউল্লাহ, ‘আমি ১৫০-১৬০ কিলোমিটার গতিতে বল করব এবং যারা বলেছে আমি ১৩০-১৩৫ গতির বোলার, তাদের আগামী এক-দেড় মাসে দেখিয়ে দেবো। ইনজুরির আগে আমি যেমনটা ছিলাম, তারচেয়ে আরও ভালো বোলার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করব।’

এর আগে পিএসএলের অষ্টম আসরে মুলতান সুলতানের হয়ে খেলেছেন ইহসানউল্লাহ। তাকে নিয়ে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক আলি তারিন বলেছিলেন, ডান কনুইয়ে চোটের কারণে ইহসানউল্লাহ আর কখনোই আগের মতো বোলিং করতে পারবেন না।

তারিন বলেছিলেন, ‘আমরা ইহসানউল্লাহকে সেরা সার্জনের কাছে নিয়েছি। তিনি আমাদের দুঃসংবাদ দিয়ে জানিয়েছেন, আমি সার্জারি করতে পারি, কিন্তু এটিতে খুব একটা উন্নতি হবে না। আগের সার্জারির কারণে তার কনুই আগের মতো সোজা হবে না এবং কখনোই আর আগের মতো বোলিং করতে পারবে না সে।’

মুলতান ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক যোগ করেন, ‘এটি খুবই দুভাগ্যের বিষয় যে, একজন ব্যক্তি (পিসিবির চিকিৎসক) নিজের দুর্বলতা লুকাতে গিয়ে একজন ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছে। সে কারণে ঘরোয়া ক্রিকেটে সে (ইহসান) ১৩০-১৩৫ কিলো গতিতে বল করছে। অথচ সে ছিল আমাদের ১৫৫ কিলোমিটার গতির বোলার।’

তবে তারিনের এমন মন্তব্য মোটেই সহজভাবে নিতে পারছেন না ইহসানউল্লাহ। সরাসরি নাম নিলেও তারিনকে ইঙ্গিত করে এই তরুণ পেসার বলেছেন, ‘এটি স্বার্থপর মানুষদের স্বার্থপর দুনিয়া। আমি আর ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলতে চাই না। আজকের পর থেকে এটি শেষ। আমি এই টুর্নামেন্ট বয়কট এবং পিএসএল থেকে অবসর নিচ্ছি। আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে পাকিস্তান জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই, পিএসএল খেলে নয়। যখন আপনি বিকল্প পেয়ে যাবেন, তখন আর অতীত ভাববেন না। অথচ তিনি (আলি তারিন) আমার পারফরম্যান্স ও প্রতিভা মূল্যায়ন করা উচিৎ ছিল।’

প্রসঙ্গত, কনুইয়ের চোট থেকে সেরে উঠে সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে মাঠে ফেরেন ইহসানউল্লাহ।