গতির সঙ্গে বাউন্সটাও নিয়মিত ছাড়ছেন নাহিদ রানা। প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের রাখছেন তটস্ত। কখনও রান তুলতে খাবি খাওয়াচ্ছেন, কখনও করছেন পরাস্ত। দেশের ক্রিকেটে রাজত্ব করা টাইগার পেসারের পরিধি বাড়তে যাচ্ছে এবার। বাংলাদেশের গতিতারকা পাড়ি দিচ্ছেন পাকিস্তানে, পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলবেন পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। তার আগে জানালেন, কিংবদন্তি শোয়েব আখতারকে কাছে পেলে কিছু হলেও শিখবেন।

মাসকয়েক আগে পাকিস্তানে গতির খেলা দেখিয়ে এসেছেন নাহিদ। দুই টেস্টের সিরিজে শান মাসুদদের হোয়াইটওয়াশ করতে নাকানিচুবানি খাইয়েছিলেন। গতির কারণে এবার সেই দেশেই খেলবেন, যেখানে আছে একঝাঁক গতির বোলার। রয়েছেন শোয়েব আখতারের মতো গতিতারকা। ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’-এর সঙ্গে দেখা হলে কিছু কি শিখতে চান? নাহিদ দিয়েছেন অকপট উত্তর।

রংপুর রাইডার্সের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক ভিডিওতে ২২ বর্ষী বাংলাদেশি পেসার বলেছেন, ‘অবশ্যই। তিনি (শোয়েব আকতার) একজন কিংবদন্তি বোলার। একজন কিংবদন্তি বোলারের সঙ্গে দেখা হলে অনেক কিছু শেখা যায়। যদি সুযোগ হয় তো শিখব।’

ঘণ্টায় ১৬১.৩ কিলোমিটারে বোলিং করে সর্বোচ্চ গতিতে বোলিংয়ের রেকর্ডটা শোয়েবেরই। নিয়মিত ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করা নাহিদেরও সেই সামর্থ্য আছে। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতির মাইলফলক পেরোনোরও রেকর্ড আছে। নাহিদ কি পিএসএলে শোয়েবের সেই রেকর্ড ভাঙতে চান? নাহিদের উত্তর সোজাসাপ্টা, ‘এর আগেও বলেছি যে কোনো কিছু বা রেকর্ড ভাঙার ইচ্ছে নেই। নাহিদ রানার মতোই কিছু করার চেষ্টা করব।’

নাহিদ রানা যদি নিজের মতো কিছু করেন, তবে বিদেশি লিগে প্রথমবারই বেশ নাম কাড়বেন। চলতি বিপিএলেও দারুণ ছন্দে আছেন রংপুর রাইডার্সের পেসার। রাইডার্সদের হয়ে সাত ম্যাচের সবকটিতেই সুযোগ পেয়েছিলেন। গতি ও বাউন্সারে প্রতিপক্ষকে তটস্ত রাখা নাহিদ শিকার করেছেন ৯ উইকেট।