লিটন ইস্যুতে ফ্যাক্টচেকে যা বলল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:২১ পিএম
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে জায়গা হয়নি লিটন দাসের। মূলত জাতীয় দলের হয়ে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আশানুরূপ না হওয়াতেই তাকে দলে রাখা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক। কিন্তু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দ-তে এই খবরটিকে পুরোপুরি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়।
‘সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারে উত্তাল দেশ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য বাংলাদেশের দল থেকে বাদ’- এমন শিরোনামে রোববার (১২ জানুয়ারি) লিটনের বাদ পড়ার খবর প্রকাশ করে তারা।
এবিপির এ প্রতিবেদন স্রেফ মিথ্যা সংবাদ বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া বিবৃতিতে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর ব্যাখ্যাও যোগ করা হয়েছে।
এ সংবাদের প্রতিবাদে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ লিপুর মন্তব্য ধরে বলা হয়েছে, ওয়ানডেতে লিটন দাসের সাম্প্রতিক অফ ফর্মের কারণেই দলে নেওয়া হয়নি। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সর্বশেষ ১৩ ওয়ানডে ইনিংসে কোনো ফিফটি নেই লিটনের। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাম্প্রতিক সিরিজেও হাসেনি লিটনের ব্যাট।
গাজী আশরাফের বরাত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সেন্ট কিটসের কন্ডিশন নিঃসন্দেহে ব্যাটিং সহায়ক। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, সে (লিটন) এমন হাইস্কোরিং উইকেটেও রান করতে পারেনি। ফর্মহীনতা অব্যাহতই থাকে। সেখানে (লিটন) ফেল করায় তার ওপর আত্মবিশ্বাস রাখা কঠিন হয়ে যায়। আমার মনে হয় তাকে নিয়ে আমরা যদি আরও কাজ করতে পারি, তাকে আমরা স্ট্রংলি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে ফেরত নিয়ে আসতে পারব। এ বছর আমাদের ক্রিকেট সূচিতে অনেক ম্যাচ আছে। আশা করি, সে (লিটন) তাতে বড় অবদান রাখবে।’
একইসঙ্গে বিবৃতিতে লিটন দাসের মন্তব্যও যোগ করেছে প্রেস উইং। বিপিএলে রোববারের ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজের বাদ পড়া প্রসঙ্গে লিটন দাস বলেছেন, ‘আমি জাতীয় দলের হয়ে খেলি বা ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলি, কীভাবে রান করা যায়, সেটা খুঁজে বের করাই আমার কাজ। চেষ্টা থাকবে যেন ধারাবাহিকতা বজায় রাখি এবং দলের সাফল্যে অবদান রাখতে পারি।’
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশ নিয়ে বহু ভুয়া সংবাদ প্রচার করেছে ভারতের মূলধারার সংবাদমাধ্যম। এর আগে লিটন দাসের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার গুজবও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়। লিটন নিজেই সেসময় এই খবরকে ‘ভুয়া তথ্য’ বলে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীন ফ্যাক্টচেকার প্রতিষ্ঠান রিউমার জানিয়েছে, গতবছরের ১২ আগস্ট থেকে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতের ৪৯টি সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশকে অন্তত ১৩টি ‘ভুয়া খবর’ ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে।