আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রেকর্ড ১০০ সেঞ্চুরির মালিক শচীন টেন্ডুলকার। সর্বকালের সেরা ব্যাটারদের একজন। সেই তার সঙ্গেই এবার ইংলিশ ব্যাটার হ্যারি ব্রুকের তুলনা করলেন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি ক্রিকেটার গ্রেগ চ্যাপেল।

ব্রুককে কেন এগিয়ে রাখলেন গ্রেগ চ্যাপেল সেই ব্যাখ্যাও তিনি দিয়েছেন। সেখানেই ফুটে উঠেছে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের পরিসংখ্যানে শচীনের চেয়ে কতটা এগিয়ে ব্রুক।

২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ভারতের কোচের দায়িত্ব পালন করেন চ্যাপেল। সে কারণে টেন্ডুলকারকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে চ্যাপেলের। তবে শচীনের চেয়ে যে কোনো অংশেই পিছিয়েই নেই ব্রুক সেটাই সিডনি হেরাল্ডকে জানিয়েছেন ৮৭ টেস্ট ও ৭৪ ওয়ানডে খেলা চ্যাপেল।

ব্রুককে নিয়ে চ্যাপেল বলেন, ‘হ্যারি ব্রুক, ব্যাটিং সেনসেশন, যার পারফরম্যান্স এবং দৃষ্টিভঙ্গিকে আমি গ্রেট শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে তুলনা করি। ব্রুকের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের পরিসংখ্যান বলছে, একই পর্যায়ে প্রভাবের দিক থেকে সে সম্ভবত ভারতীয় তারকাকেও ছাড়িয়ে গেছে।’

চ্যাপেল আরও বলেন, ‘২৫ বছর বয়সেই খুব দ্রুত বিশ্বের আলোচিত ক্রিকেটারদের একজন হয়েছে উঠেছে। সহজ ও প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার কার্যকর ব্যাটিংয়ে সে আলো ছড়াচ্ছে। অনেকটা শুরুর দিকের টেন্ডুলকারের মতো, বল ছাড়ার আগে সে ক্রিজে অতিরিক্ত নড়াচড়া করে না।’

ব্রুক দুই বছরের একটু বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে ২৪ টেস্ট খেলেছেন। দারুণ ধারাবাহিকতায় ৫৮.৪৮ গড়ে রান করেছেন ২ হাজার ২৮১। নামের পাশে সেঞ্চুরি ৮টি ও ফিফটি ১০টি। এমন এক ব্যাটারের প্রতি তাই ইংল্যান্ডকে যত্নবান হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন চ্যাপেল।

অজি কিংবদন্তি বলেন, ‘তাদের প্রথম ১৫ টেস্টের তুলনা করলে অবাক করার মতো তথ্য পাওয়া যায়। ওই সময়ে টেন্ডুলকার ৪০ এর নিচে গড়ে ৮৩৭ রান করেছিল, যার মধ্যে সেঞ্চুরি ছিল দুটি। অন্যদিকে, ব্রুক প্রায় ৬০ গড়ে ৫টি সেঞ্চুরিসহ ১ হাজার ৩৭৮ রান করেছে। সত্যি কথা বলতে, শচীন তখনও কিশোর ছিল আর ব্রুকের বয়স ২৫।’

তিনি আরও বলেন, ‘ধারাবাহিকতার সঙ্গে আগ্রাসনের সংমিশ্রণে ব্রুকের সামর্থ্য তাকে বোলারদের জন্য দুঃস্বপ্ন করে তুলেছে, কারণ টেন্ডুলকারের মতো তাকে দমিয়ে রাখা অবিশ্বাস্যরকম কঠিন। ইংল্যান্ডের জন্য সে কেবল একজন উজ্জ্বল সম্ভাবনাই নয়; সে এমন একজন ক্রিকেটার যাকে ঘিরেই তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে উঠতে পারে।’