আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৮ দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। যেই ৮ দলের একটি আফগানিস্তান। তবে এই দলটির অংশগ্রহণ নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

কদিন আগে, ব্রিটিশ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ড দলের ম্যাচ বয়কটের দাবি তুলেছিলেন। এবার আফগানিস্তানের অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে জোরাল অবস্থানের কথা জানালেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রীড়ামন্ত্রী গেটন ম্যাকেঞ্জি। তার মতে, আফগানিস্তানকে এই আসরে আইসিসির অংশগ্রহণ করার অনুমতি দেওয়া ‘কপট ও অনৈতিক সিদ্ধান্ত’।

আফগানিস্তানে নারীদের প্রতি তালেবান শাসনের আচরণের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদের তুলনা করেছেন ম্যাকেঞ্জি। আফগানিস্তানের  চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশগ্রহণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি এটি আমার সিদ্ধান্ত হতো তবে অবশ্যই এটি ঘটত না। একজন পুরুষ হিসাবে যিনি এমন একটি জাতি থেকে এসেছেন যেখানে বর্ণবৈষম্য হচ্ছে, খেলাধুলার সুযোগের সমান প্রবেশাধিকার দেওয়া হচ্ছে না। আজ যখন বিশ্বের কোথাও নারীদের প্রতি একই আচরণ করা হচ্ছে তখন অন্য দিকে তাকানো ভণ্ডামি ও অনৈতিক হবে।’

ম্যাকেঞ্জি এমন একটা সময় এমন মন্তব্য করেছেন যখন, টুর্নামেন্টে আফগানিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে চাপ বাড়ছে আইসিসির ওপর। কেননা, কদিন আগেই ১৬০ জন ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কট করতে ইংল্যান্ড দলকে চিঠি দিয়েছেন। তাই এই অবস্থায় ম্যাকেঞ্জির এমন অবস্থান নিশ্চিতভাবেই আইসিসির ওপর চাপ বাড়াবে।

যদিও এ ব্যাপারে আইসিসির একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘আইসিসি তাদের দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত আইন মেনে চলার জন্য এসিবি বা তার খেলোয়াড়দের শাস্তি দেবে না। আইসিসি আফগানিস্তান পুরুষ এবং নারী উভয়ের জন্য ক্রিকেটের সুযোগ বিকাশে সহায়তা করা অব্যাহত রাখবে।’

এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রীড়ামন্ত্রী ম্যাকেঞ্জি আফগানিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও কদিন আগেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলেছে দলটি। যেখানে তাদের ব্যাখ্যা ছিল, তালেবান শাসনের জন্য আফগান ক্রিকেটারদের শাস্তি দেওয়ার কোনো মানে নেই।