পান্তকে প্রতি ম্যাচেই সেঞ্চুরি করার মন্ত্র শেখালেন অশ্বিন
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৮ এএম
ছবি: সংগৃহীত
ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার পর ঋষভ পান্তের ক্রিকেটে ফিরে আসাটাই একরকম বিস্ময় জাগানিয়া। সেই তিনি শুধু ফিরেননি মাঠের পারফরম্যান্সেও রাজ করছেন। তবে সম্প্রতি অতি আগ্রাসী হতে গিয়ে প্রায়শই উইকেট দিয়ে আসতে হচ্ছে তাকে। যা নিয়ে হচ্ছে সমালোচনাও। আর সেই সমালোচনা থেকে বাঁচা ও তাকে প্রতি ম্যাচেই সেঞ্চুরি করার মন্ত্র বাতলে দিয়েছেন তার সঙ্গে ৪৪ ম্যাচ খেলা সদ্য সাবেক ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
কদিন আগেও পান্তের সঙ্গে খেলা অশ্বিন মনে করেন, প্রতি ম্যাচেই সেঞ্চুরি করার সামর্থ্য আছে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের। আর সেই সেঞ্চুরি পাওয়ার মন্ত্রটাই এবার পান্তকে বাতলে দিলেন অশ্বিন।
সিডনিতে বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফির শেষ ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৯৮ বলে ৪০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩ বলে করেন ৬১ রান করেন পান্ত। একই ম্যাচে পন্তের ভিন্নধর্মী ব্যাটিং দেখে অশ্বিন অবশ্য মোটেও বিস্মিত নন। বরং তিনি মনে করেন, ডিফেন্সের দিক থেকে পন্ত অন্যতম সেরা এবং সিডনিতে তিনি তার লড়াকু মানসিকতাকে ফুটিয়ে তুলেছেন।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ২৭ বছর বয়সী উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যানকে নিয়ে অশ্বিন বলেছেন, ‘আমি একটা কথা শুনতে শুনতে বেড়ে উঠেছি “তোমাকে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।” সিডনিতে সে দুই ধরনের ইনিংস খেলেছে। শরীরের সব জায়গায় বল লাগার পরও ৪০ রান করেছে। কিন্তু ওর সেই ইনিংস নিয়ে সবচেয়ে কম কথা হবে। এটা খুবই অন্যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে সে বেপরোয়া ব্যাটিংয়ে ফিফটি করেছে, তা নিয়ে প্রশংসায় ভাসানো হচ্ছে। সবাই ওর প্রথম ইনিংস ভুলে গেছে এবং দ্বিতীয় ইনিংসের প্রশংসা করছে।’
পন্তের ডিফেন্স নিয়ে অশ্বিন বলেছেন, ‘আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে, পন্ত রক্ষণাত্মক শট খেলতে গিয়ে আউট হয় না বললেই চলে। ডিফেন্সে সে বিশ্বের অন্যতম সেরা। ডিফেন্স করা এখন চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু সে নরম হাতেই তা করে ফেলে। আমি তাকে নেটে বহুবার বল করেছি, কিন্তু আউট করতে পারিনি। বল ওর ব্যাটের কিনারায় লাগে না, সে এলবিডব্লুও হয় না। রিভার্স সুইপ-স্লগ সুইপ থেকে শুরু করে সব ধরনের শট খেলতে পারে।’
এরপর পান্তকে অশ্বিন দিয়েছেন সেই মন্ত্র; যা মেনে চললে প্রতি ম্যাচেই সেঞ্চুরি আসতে পারে। অশ্বিন বলেন, ‘ঋষভ পন্ত এখনো তার সক্ষমতাকে পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারেনি। সে যেসব শট খেলে, সবই খুব ঝুঁকিপূর্ণ। ওর যে রক্ষণাত্মক কৌশল, সেটার ওপর ভরসা রাখলে সে প্রতি ম্যাচেই ২০০ বল খেলবে। ব্যাপারটা হলো উপায়টা তাকেই খুঁজে বের করতে হবে। সেটা করতে পারলে প্রতি ম্যাচেই ১০০ রান করবে।’