পাকিস্তানের চার কিংবদন্তি ক্রিকেটার ইনজামাম-উল-হক, মিসবাহ-উল-হক, মুশতাক মোহাম্মদ এবং সাঈদ আনোয়ারকে হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ১১ জনের স্বাধীন প্যানেল তাদের নাম বাছাই করেছে।

তাদের হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে পিসিবি বলেছে, ‘(হল অব ফেমে জায়গা পাওয়া) চার তারকাকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বছরের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তখন তাদের স্মারক ক্যাপ এবং বিশেষভাবে ডিজাইন করা ফলক প্রদান করা হবে।’

হল অব ফেমে স্থান পাওয়ার মধ্য দিয়ে আরও একঝাঁক কিংবদন্তিদের সঙ্গী হলেন ইনজামাম, মিসবাহ, মুশতাক এবং আনোয়ার। তাদের আগে হল অব ফেমে নাম উঠেছিল আবদুল কাদির, এএইচ কারদার, ফজল মাহমুদ, হানিফ মোহাম্মদ, ইমরান খান, জাভেদ মিয়াঁদাদ, ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস, ইউনিস খান এবং জহির আব্বাস।

ইনজামাম ১৯৯১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন এবং ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান দলের সদস্য ছিলেন। পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেট সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এবং দীর্ঘদিন অধিনায়ক ছিলেন। পরবর্তীতে, তিনি দুবার পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বও পালন করেন এবং আফগানিস্তানের কোচও ছিলেন।

২০০১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন মিসবাহ। ২০০৯ সালের আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের অংশ ছিলেন এই ক্রিকেটার। ২০১৬ সালে পাকিস্তানকে আইসিসি টেস্ট টিম র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানে নিয়ে আসেন তিনি। মিসবাহ ২০১৯-২০২১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১৯-২০২০ সালে প্রধান নির্বাচকও ছিলেন।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট খেলা চার মোহাম্মদ ভাইয়ের একজন মুশতাক। ১৯৫৯ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন তিনি। ১৯৭৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম টেস্ট জয়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ইংল্যান্ডে ১৯৭৫ সালের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন এবং ১৯৯৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে জাতীয় দলের কোচিং করিয়েছেন।

আর আনোয়ার ১৯৮৯ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন। ১৯৯৬, ১৯৯৯ এবং ২০০৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে তিনটি সেঞ্চুরি এবং তিনটি অর্ধশতকসহ মোট ৩১টি সেঞ্চুরি এবং ৬৮টি ফিফটি করেছেন এই ওপেনার।