মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গে ‘অবিশ্বাস্য’ পুনর্মিলনের ইঙ্গিত নেইমারের
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:২৯ এএম
বার্সেলোনায় এক সঙ্গে তাদের সময়টা খুব বেশি ছিল না, মেরেকেটে তিন মৌসুম। সে তিন মৌসুমেই দারুণ সখ্যতা গড়ে উঠেছিল লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ আর নেইমারের মধ্যে। সময়ের ফেরে নেইমার এখন সৌদি আরবে, মেসিরা যুক্তরাষ্ট্রে।
তবে ক্যারিয়ার সায়াহ্নে এসে নেইমারের কি ইচ্ছে করে না বার্সেলোনার ওই ‘এমএসএন’ ত্রিফলা আবারও গড়ার, আবারও অন্য দুই বন্ধুর সঙ্গে একই মাঠে খেলার? নেইমার সম্প্রতি ইতিবাচক ইঙ্গিত দিলেন সে প্রশ্নের জবাবে। জানালেন, তেমন কিছু হলে তা হবে ‘অবিশ্বাস্য’ এক পুনর্মিলনী।
২০১৪ বিশ্বকাপের ঠিক পরপর শুরু হওয়া এমএসএন ত্রিফলার গল্প শেষ হয়েছিল ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে। সেটাও রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে নেইমার পিএসজিতে পাড়ি জমানোর কারণে।
এরপর থেকে বহুবার বার্সেলোনায় ফেরার গুঞ্জন মাথাচাড়া দিয়েছে, মেসি-সুয়ারেজ তখনও বার্সার জার্সিতেই খেলছেন। এরপর মাঝে মেসির সঙ্গে পুনর্মিলনী হয়েছে নেইমারের, তবে পিএসজির জার্সিতে সুয়ারেজকে পাওয়া হয়নি কাছে।
ইউরোপের পাট চুকিয়ে নেইমার, মেসি আর সুয়ারেজরা এখন ভিন্ন দুই মহাদেশে। নেইমার খেলছেন আল হিলালে। দুই বছরের চুক্তিতে তিনি ঠিকমতো ছয় মাসও খেলতে পারেননি, চোট তাকে রেখেছে মাঠ থেকে বহু দূরে। ওদিকে মেসি আর সুয়ারেজরা আছেন ইন্টার মায়ামিতে।
তাদের সঙ্গে কি খেলতে ইচ্ছে করে? সম্প্রতি সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অবশ্যই, মেসি আর সুয়ারেজের সঙ্গে খেলাটা হবে অবিশ্বাস্য কিছু। তারা আমার বন্ধু, আমরা এখনও একে অন্যের সাথে কথা বলি।’
আল হিলালে চুক্তি শেষ চলতি মৌসুম শেষেই। নেইমার জানালেন এখানে সুখেই আছেন তিনি। তবে ভবিষ্যতে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন না তিনি।
বললেন, ‘এই ত্রয়ীটাকে আবারও বাস্তবে রূপ দেওয়া গেলে বিষয়টা দারুণ হবে। আমি এখন আল হিলালে সুখে আছি, সৌদি আরবেও আনন্দে আছি। তবে কে জানে, ফুটবল তো অনেক বিস্ময় উপহার দেয়!’
২০২৩ সালে ৯ কোটি ইউরো খরচ করে তাকে পিএসজি থেকে দলে ভিড়িয়েছিল আল হিলাল। তবে এরপর থেকে স্রেফ ৭ ম্যাচেই খেলেছেন তিনি। তার চুক্তি চলতি জুন মাসেই শেষ।
২০২৩ সালেই ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন নেইমার। তার ইঙ্গিত মিলল তার পরের কথায়, ‘যখন খবরটা জানলাম যে আমি পিএসজি ছেড়ে যাচ্ছি, যুক্তরাষ্ট্রে দলবদলের উইন্ডো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই আমার সামনে সে সুযোগ ছিল না।’
তবে আল হিলালে এসেও বেশ সন্তুষ্ট নেইমার, ‘তারা আমাকে যে প্রকল্পটার প্রস্তাব দেখিয়েছে, তা বেশ ভালো ছিল। শুধু আমার জন্য নয়, আমার পরিবারের জন্যও। তো সৌদি আরবে আসাটা আমার জন্য ভালো সিদ্ধান্ত ছিল।’