রোহিত-কোহলির অবসরের ভার তাদের ওপরই ছাড়লেন গম্ভীর
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:২৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
অনেকেরই ধারণা ছিল সিডনি টেস্ট দিয়েই দীর্ঘ টেস্ট ক্যারিয়ারের বিদায় জানাবেন রোহিত শর্মা। পরবর্তীতে একই পথে হাঁটবেন বিরাট কোহলিও। কেননা, সম্প্রতি ব্যাট হাতে সেই অর্থে নিজেদের নামের সুবিচার করতে পারছেন এই এই দুই তারকা। তবে শেষ পর্যন্ত সে পথে হাঁটেননি রোহিত বা কোহলি। তাই এই দুজনের অবসর নিয়ে প্রশ্নটা রয়েই গেল। সেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে দলটির কোচ গৌতম গম্ভীরকেও।
বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ৩-১ ব্যবধানে হারের পর, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খুইয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে হয়েছে গম্ভীরকে। সেখানেই রোহিত-কোহলির অবসর নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। যার উত্তরের ভারটা অবশ্য তিনি ছেড়ে দিয়েছেন দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের কাঁধেই। জানিয়েছে, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তটা তারাই নেবেন।
টেস্টে দুই সিনিয়র তারকার ভবিষ্যৎ প্রশ্নে গম্ভীর বলেন, ‘আমি কোনো ক্রিকেটারের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে পারি না। এটি তাদের ওপর নির্ভর করছে। আমি শুধু এটুকু বলতে পারি– তাদের (রোহিত-কোহলি) এখনও জয়ের ক্ষুধা আছে, খেলার প্রতিও তারা যথেষ্ট আবেগী। তারা শক্ত মানুষ। আশা করি তারা এমন মানসিকতা ধরে রাখবে। কিন্তু আমরা সবাই জানি তারা যে পরিকল্পনা–ই করবে, সেটি হবে দলের জন্য উত্তম।’
বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে পাঁচ ম্যাচের ৯টি ইনিংসে ব্যাট করেছেন কোহলি। যেখানে একটি সেঞ্চুরি করলেও, তার রান মাত্র ১৯০। পার্থ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি ছাড়া বাকি সাত ইনিংসে কোহলির খেলা সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ছিল কেবল ৩৬। অন্যদিকে, সিরিজে তিন টেস্টে ব্যাট হাতে মাত্র ৩১ রান করেছেন রোহিত। অফফর্মের কারণে সরে দাঁড়ান সিডনি টেস্ট থেকে। স্বাভাবিকভাবেই তাই তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সিডনি টেস্টের আগে রোহিতের সরে যাওয়া নিয়ে আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। যা নিয়ে গম্ভীরের মত কি; জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ প্রসঙ্গে অনেক প্রতিবেদন হয়েছে, অনেক কথা বলা হচ্ছে। অন্তত আমাদের এক্ষেত্রে কিছুটা নমনীয় হওয়া দরকার ছিল। যদি কোনো অধিনায়ক কিংবা কোনো নেতা যদি দলকে সামনে রেখে এমন সিদ্ধান্ত নেয়, তাতে আমি ভুল কিছু দেখি না। তবুও বিষয়টি নিয়ে অনেক অনেক বেশি আলোচনা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিষয়টাই এমন যে, এখানে দলই সবকিছুর ঊর্ধ্বে, দেশই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
গম্ভীর আরও বলেন, ‘দলের প্রত্যেকেই তার নিজের কাজটা জানে এবং পেশা হিসেবে এখানে ভালো করতে সর্বোচ্চ পরিশ্রম দিয়ে যায়। তাই এটি আমার কিংবা আপনার দল নয়, দেশের দল। আমাদের ড্রেসিংরুমে অনেক সৎ ক্রিকেটার আছে যাদের ভালো করার ক্ষুধা আছে এবং সেটি মাথায় রেখে দলের জন্য অবদান রাখতে চায়। এক্ষেত্রে আমি নির্দিষ্ট কাউকে এগিয়ে রাখি না। কারও অভিষেক হচ্ছে, কেউবা ১০০ টেস্ট খেলে ফেলেছে ইতোমধ্যে, সবার প্রতিই আমার দৃষ্টি সমান।’