ছবি: সংগৃহীত
সিডনিতে হাজারো সমর্থক তখন অপেক্ষা করে আছে স্টিভেন স্মিথের ১০ হাজার টেস্ট রানের মাইলফলকের সাক্ষী হওয়ার। তবে সেই অপেক্ষা শেষ পর্যন্ত বিষাদে রূপ নিয়েছে। প্রাসিধ কৃষ্ণার আচমকা লাফিয়ে উঠা বল সামলাতে না পেরে স্মিথ ক্যাচ তুলে দিলেন ডাইভিং পজিশনে থাকা যশস্বী জয়সওয়ালের হাতে। এক রানের আক্ষেপে পুড়তে হল স্মিথকে। ৯৯৯৯ রানে থামলেন স্মিথ। বিষাদ ছেয়ে গেল গোটা সিডনি স্টেডিয়ামজুড়ে।
১০ হাজার থেকে মাত্র ১ রানের দূরত্বে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি শেষ করতে হলো স্মিথকে। এদিন ১০ হাজারের মাইলফলক থেকে মাত্র ৩৮ রান দূরে ব্যাট হাতে সিডনি টেস্টে নেমেছিলেন স্মিথ। আগের দুই টেস্টে সেঞ্চুরি করা স্মিথে এই টেস্টে মাইলফলক স্পর্শ করবেন তেমনটাই ছিল প্রত্যাশা।
তবে দুই ইনিংস মিলিয়েও শেষ পর্যন্ত সেটি পেরে উঠেননি স্মিথ। প্রথম ইনিংসে ৩৩ রানে সাজঘরে ফেরার পর দ্বিতীয় ইনিংসে স্মিথ থেমেছেন মাত্র ৪ রানে। আর তাতে আপেক্ষ সঙ্গী হয়েছে তার।
এর আগে, টেস্টে ঠিক ৯ হাজার ৯৯৯ রানে কোনো টেস্ট শেষ করা ব্যাটসম্যান ছিলেন একজনই। ২০১১ সালেদক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই অভিজ্ঞতা হয়েছিল মাহেলা জয়বর্ধনের। এছাড়া ২০০৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ হাজার ৯৯৩ রান নিয়ে টেস্ট শেষ করেছিলেন ব্রায়ান লারা।
সিডনিতে ১০ হাজার রানের মাইলফলক পূর্ণ না হওয়ায় স্মিথকে এখন অপেক্ষা করতে হবে শ্রীলংকা সিরিজ পর্যন্ত। যা শুরু হবে এই মাসের শেষ দিকে। সব ঠিক থাকলে শ্রীলংকা সফরে টেস্ট ক্রিকেটে ১০ হাজার রান করা পঞ্চদশ ব্যাটসম্যান হবেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এখনও পর্যন্ত এই সীমানা পেরিয়েছেন কেবল তিনজন-রিকি পন্টিং, অ্যালান বোর্ডার ও স্টিভ ওয়াহ।
টেস্টে সাত হাজার ও আট হাজার রানে স্মিথ ছিলেন ইতিহাসের দ্রুততম, ৯ হাজারে ছিলেন দ্বিতীয় দ্রুততম। ১০ হাজার ছোঁয়ায় তিনি আরেকটু পেছনে পড়ে যাচ্ছেন। ১৯৫ ইনিংসে ১০ হাজারে পা রেখে রেকর্ডটি যৌথভাবে ব্রায়ান লারা, সাচিন টেন্ডুলকার ও কুমার সাঙ্গাকারার। রিকি পন্টিং করেছেন ১৯৬ ইনিংসে। আর স্মিথ এখন খেলেছেন ২০৪ ইনিংস। তার সুযোগ এখনও আছে তৃতীয় দ্রুততম হওয়ার। ২০৬ ইনিংসে ছুঁয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়।