শূন্য রানে ব্যাট করছিলেন বিরাট কোহলি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ততক্ষণে বিপাকে ভারত। ইনিংসের অষ্টম ওভারে স্কট বোলান্ডের বলে পরাস্তও হন কোহলি। ব্যাট ছুঁয়ে বল স্টিভ স্মিথের হাত ঘুরে জমা পড়ে স্লিপে থাকা মার্নাস লাবুশেনের হাতে। কিন্তু ফিল্ড আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের কিছু সন্দেহ হয়। কল যায় তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। বেঁচে যান কোহলি। ওই ঘটনা নিয়েই চলছে বিতর্ক।

বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির সিডনি টেস্টে খেলা স্মিথ পরে দাবি করেন, তিনি একশ ভাগ নিশ্চিত ক্যাচ জমাতে পেরেছিলেন লাবুশেন। স্মিথের পক্ষে বলেছেন মাইকেল ভন, মার্ক ওয়াহরা। তবে মার্ক নিকোলাস ও ইরফান পাঠান মনে করেন কোহলি আউট ছিলেন না। এই ঘটনায় বিভক্ত হয়ে ভিন্ন মত দিয়েছেন ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।

মেলবোর্ন টেস্টে যশস্বী জয়সাওয়ালের আউট নিয়ে যখন বিতর্ক তুঙ্গে, তখনই ঘটেছে আরেকটি কোহলির ক্যাচ বিতর্ক। 

সিডনি টেস্টে কোহলির ওই ক্যাচটি নানা অ্যাঙ্গেল থেকে দেখে তৃতীয় আম্পায়ার জোয়েল উইলসন জানান, ক্যাচ হয়নি। তবে নট আউটের বিষয়টি মানতে পারছেন না স্মিথ। আজ লাঞ্চ বিরতের সময় সম্প্রচারকারী চ্যানেলে অজি তারকা বলেন, ‘শতভাগ নিশ্চিত ওটা ক্যাচ ছিল। অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। একশ’ ভাগ আউট ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটা আম্পায়ারের।’ 

ঘটনাটি যখন অনেক বেশি আলোচনা-সমালোচনা জমছে, তখন বিবৃতি প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তাদের ভাষ্য, এমসিসি আইনের ৩৩ ধারা অনুসারে ‘ফেয়ার ক্যাচ’ বিষয়ে নিশ্চিত হননি তৃতীয় আম্পায়ার জোয়েল উইলসন। সেজন্যই নট আউট দেয়া হয়েছে।

যদিও শূন্য রানে জীবন পেয়ে আখেরে লাভের লাভ কিছুই করতে পারেনি কোহলি। ব্যাট হাতে ধুঁকতে থাকা কোহলি ফিরেছেন ১৭ রানে। কাকতালভাবে ভারতের ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন সেই বোলান্ডই। তাও স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন। এবার অবশ্য ক্যাচ নিতে ভুল করেননি বিউ ওয়েবস্টার। স্টার্ক-বোলান্ডদের তোপে নাকানি-চুবানি খাওয়ার দিনে কোহলিরা থেমেছে ১৮৫ রানে। প্রথম ইনিংসের জবাবে ভালো শুরু পায়নি অস্ট্রেলিয়াও। প্রথম দিনের খেলা শেষের আগে ৯ রান করতেই উসমান খাজাকে হারিয়েছে স্বাগতিকরা।