ভারতীয় কিংবদন্তি এমএস ধোনির সিগনেচার শট হেলিকপ্টার। তাই হেলিকপ্টার শট দেখলেই ভক্তদের চোখে ভাসে ধোনিকে। সেই ধোনির হেলিকপ্টার শটেই এবার বিপিএলে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন খুলনা টাইগার্সের ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। কীভাবে রপ্ত করলেন এই শট। সেই কৌশলই জানিয়েছেন অঙ্কন।

বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম কিংসের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন অঙ্কন। ২২ বলে অপরাজিত ৫৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে হয়েছেন ম্যাচসেরা। তার আগে ১৮ বলে বিপিএলের দ্রুততম ফিফটি হাঁকিয়েছেন এই ব্যাটার। যেখানে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩টি ছক্কায়। তবে সেখান থেকে বিশেষভাবে নজর কেড়েছে অঙ্কনের হেলিকপ্টার শট। সেই শটের পেছনের গল্প এবার নিজেই জানিয়েছেন তিনি। 

ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে অনুশীলনেও এই শট খেলতে দেখা গেছে অঙ্কনকে। যা নিয়ে অনুশীলন শেষে মুখোমুখি হলেন সংবাদমাধ্যমের। আর তখন এই শট নিয়ে জানতে চাইলে ২৫ বছর বয়সী এই কিপার-ব্যাটার জানালেন, বিশেষ ডেলিভারির জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত হতেই এই শট রপ্ত করেছেন তিনি।

অঙ্কন বলেন, ‘আমি শুধু চেয়েছি, বলটা কীভাবে টাইমিং করা যায়। আমার মনে হচ্ছিল, ওরকম ডেলিভারি আসতে পারে। তার জন্য ওই শটটা খেলতে পেরেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করেছি যে, ইয়র্কার বলে কীভাবে স্কোর করা যায়। ইয়র্কার বা লো ফুলটস সব…. ওখান থেকে আসা সবকিছু।’

প্রথম ম্যাচে ১৮ বলে বিপিএলে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম ফিফটি হাঁকিয়ে এই ব্যাটার এখনও আগামীতেও এই ধারা বজায় রাখতে চান। যা নিয়ে কাজও করছেন তিনি। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই কাজ করেছি। চেষ্টা করেছি আরও কীভাবে উন্নতি করা যায়। এখনও পর্যন্ত যতগুলো বিপিএল খেলেছি, একেক সময় আমার ভূমিকা একেক রকম ছিল। শেষবার যখন বিপিএল খেলেছি তখন আমার ভূমিকা ছিল অন্যটা। এখানে আমার ভূমিকা অন্যরকম। খুলনা টাইগার্সের ম্যানেজমেন্ট, অধিনায়ক তারা আমাকে ওইভাবে অনুপ্রাণিত করেছে, আমি যেন ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারি।’

অঙ্কন আরও বলেন, ‘আগে থেকে জানতাম ছয়-সাত নম্বরে আমার ভূমিকা এরকম হবে। আমি চেষ্টা করেছি ওইটাই ট্রেনিংয়ে কাজ করার। সব কিছুই আসলে সম্পৃক্ত এখানে। আমাদের ট্রেনিং থেকে শুরু করে সব কিছুই যুক্ত। আমরা স্কিল এবং স্ট্রেংথ ট্রেনিং কেমন করছি, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।’