গেল বছরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হওয়া সবশেষ দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হেরে হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল শ্রীলংকা। তবে সেই শঙ্কা দূর করে বছর শুরু করেছে সফরকারীরা। নেলসনে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্ট ম্যাচে কুসাল পেরেরার সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়ে দাপুটে এক জয়ে বছর রাঙিয়েছে দলটি। আর তাতে বছরের শুরুতেই হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়তে হয়নি লংকানদের।

নেলসনে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ২১৮ রানের শক্ত পুঁজি দাঁড় করায় শ্রীলংকা। যার জবাবে দারুণ খেললেও শেষ পর্যন্ত ৭ রানের ব্যবধানে ম্যাচ হারতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। ৭ উইকেটে ২১১ রানে থেমেছে কিউইদের ইনিংস। সবমিলিয়ে ৪২৯ রানের ম্যাচ ছিল এটি। য দু’দেশের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের ম্যাচ।

নেলসনে এদিনে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে থাকে শ্রীলংকা। দুই ওপেনার দ্রুত ফিরলেও দলকে বিপদে পড়তে দেননি কুসাল পেরেরা। ৪৬ বলে ১০১ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন। এই ব্যাটার এখন লংকানদের হয়ে রেকর্ড ১৬ বার ৫০ বা তার বেশি রানের ইনিংস খেলা একমাত্র ক্রিকেটার।

৪ছক্কা ও ১৩ চারে পেরেরার সেঞ্চুরি হাঁকানো ইনিংসের পর শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। ২৪ বলে ৪৬ রান আসে এই ব্যাটারের কাছ থেকে। আর তাতে ৫ উইকেটে লংকানদের পুঁজি ২১৮।

কঠিন লক্ষ্যে দারুণ শুরু পায় নিউজিল্যান্ড। ওপেনিং জুটিতে আসে ৮১ রান। টিম রবিনসন ২১ বলে ৩৭ রান করে সাজঘরে ফিরলে দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবিন্দ্র ৩৯ বলে ৬৯ রান করে সাজঘরে ফিরলে আর সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিকরা। শেষ দিকে ড্যারিল মিচেল আশার আলো জ্বেলে রেখেছিলেন।

তবে তিনি ১৭ বলে ৩৫ রান করে সাজঘরে ফিরলে অধিনায়ক স্যাটন্টার দায়িত্ব নিতে পারেননি। ১০ বলে ১৪ রান করেন তিনি। অন্যদিকে জ্যাকি ফ্লুকস ১৩ বলে ২১ রান করে কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছেন। নিউজিল্যান্ড শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে তুলে ২১১ রান।

উল্লেখ্য, তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে নিউজিল্যান্ড। আগামী তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে আগামী ৫ জানুয়ারি।