দল তখন ধুঁকছিল। অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের বিপক্ষে মোটাদাগে ব্যর্থ হয়েছিল ভারতের টপ অর্ডার। রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা যখন উইকেট ছুঁড়ে মাথা নিচু করে ফিরছিলেন, তখনই মেলবোর্নে বুক চিতিয়ে লড়েছেন নীতিশ কুমার রেড্ডি। প্রথম ইনিংসে ফলো অনে পড়তে যাওয়া ভারতকে রক্ষা করেছিলেন তিনি। হাঁকিয়ে ছিলেন দাপুটে এক সেঞ্চুরি। নীতিশের ব্যাটে মান রক্ষা হলেও জয় আসেনি ভারতের। তবে তরুণ ব্যাটিং অলরাউন্ডার পেয়েছেন বড় পুরস্কার।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজে) প্রথমবার নেমেই সেঞ্চুরি হাঁকানো নীতিশ বসেছেন মাঠটির অনার বোর্ডে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের গুরুত্বপূর্ণ টেস্টটিতে বল হাতে দাপট দেখানো জশপ্রিত বুমরাহও পেয়েছেন একই সম্মান। মেলবোর্নের ‘অনার বোর্ডে’ খচিত হয়েছে দুজনের নাম।
অনার বোর্ডে নাম ওঠা নীতিশ নতুন করে জাত চিনিয়েছিলেন মেলবোর্নে।
এই টেস্টের আগে সবশেষ পাঁচ ইনিংসে রেড্ডির সংগ্রহ ছিল— ৪১, ২৮, ৪২,৪২ এবং ১৬ রান। দলে টিকে থাকবেন কিনা যখন শঙ্কা দেখা দিচ্ছিল তখনই অস্ট্রেলিয়ায় তৃতীয় কনিষ্ঠতম ভারতীয় টেস্ট ব্যাটার হিসেবে হাঁকান সেঞ্চুরি। এমসিজেতে কামিন্স-স্টার্কদের তোপে যখন ভারতের টপ অর্ডার কুপোকাত, তখন শেষের দিকে নেমে লম্বা পথ পাড়ি দেন নীতিশ। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে রোহিত শর্মাদের ফলো অন করা থেকে বাঁচান। তাতেই আসে অন্যমত সম্মান।
ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও এই টেস্টে ধুকেছিল ভারত। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন বুমরাহ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ইনিংসে নেন ৯ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট তোলা বুমরাহ দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ভয়ংকর। অস্ট্রেলিয়াকে ২৩৪ রানে থামাতে তোপ দাগেন। অজিদের তটস্থ করে নেন ফাইফার। তাতেই সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ২০০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলকও ছুঁয়ে ফেলেন। শেষ হয়ে যাওয়া বছর ভারতের তারকা পেসারকে দুহাত ভরে দিয়েছে। বুমরাহ ১৩টি টেস্ট খেলে নিয়েছেন মোট ৭১টি উইকেট। ভারতের ব্যর্থ হওয়া টেস্টেও তাই পুরস্কৃত হয়েছেন তিনি।